শীলা দাশ / তিনটি কবিতা
ডানা দাও
গৃহ বাস আমাকে এখন সুখ নীড়
দেয় না।আশ্চর্য রমন দেয় না দোলা।
অন্তর্বাসে আমি শুয়োপোকা অথবা
পুরনো ছোলার গর্ভে কীট ।
সেদিন রৌদ্র আলোয় যেই শুকোতে
দিলাম দেখি হঠাৎ ডানা গজিয়ে গেল
আর কণা কণা আলোয় পোকাগুলো
আকাশে উড়ান দিল।আমি এখন
বস্তাপচা ছোলার গর্ভ থেকে মুক্তি চাই।
হে সূর্য কিরণমালা
আমায় ডানা দাও।
আকাশ পাখির নয়ন জলে
স্বপ্ন শস্যের পরমাণু নিয়ে জেগে উঠি
তেষ্টার জল তুলি মনের পাতালে
দৃশ্যের গভীরে আকাঙ্খার সেতু দোলে।
সমস্ত মুহূর্ত গুলো অপ্রাপ্তির রঙিন মোহ
বিধ্বস্ত শব্দের নদী কুলুকুলু বয়ে যায়
মানুষের চলতি পথে নগর বন্দরে
সুখ দুঃখ ঝরে যায় ঝরোখার ফাঁকে
পাংশু আলোছায়া ভাসে নক্ষত্র লোকে
অন্ধকারে কান রাখি
ডাকে রাতচরা পাখি
কানে কানে বলে অধরা
অধরা পৃথিবী ডুবে যায়
আকাশ পাখির নয়ন জলে ।
শেষের বার্তা
ঈশান কোণে বিষাণ বাজে
শেষের বার্তা শোনো
কাজের দরজা খোলো এবার
বাতাসে বীজ বোনো।
রাস্তা কিছু খোলা আছে
হদিশ নাও তার
দিনের পর আসুক না রাত
আসুক অন্ধকার।
অন্ধকারেও স্বপ্ন থাকে
থাকে রাতের মাখন
সূর্যোদয়ের শিকড় কোথায়
জানে গন্ধমাদন ।
যৌবনে ভুল হতেই পারে
কার তাতে কি যায়
পূর্ন চাঁদের অনুগমন
অমাবস্যার গায় ।
প্রেম প্রণয়ের সুযোগ এলে
কে ই বা ছাড়ে তাকে
প্রাসাদ বক্ষে নাচের আসর
আঙুল তুলে ডাকে।
শৈশবে তে স্বপ্ন ছিল
বড় লোকটি হবো
স্বপ্ন গুলো উধাও হলো
ঘাস বিচুলি খাবো।
এখন শুধু নাচন কোদন
পুরোনো শ্যাম্পেনে
ছানা বেড়াল লাফায় শুধু
কেই বা তাকে চেনে?
কুমার সেজে দিব্যি আছি
বারোমাস্যার জালে
লিখেটিকে পয়সা চাইলে
ধমক জোটে গালে।
বৃষ্টি কবে হয়েছিল
মনেই পড়ে না
বই এর মলাট সঙ্গী করে
অচল হলো পা।
কবির পোশাক পরতে গিয়ে
হলাম তত্ত্ব বাগিশ
কলমদানি উধাও হলো
সবাই বলে রাবিশ।
***********************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন