মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

তোমায় খুঁজে ফিরি * স্বামী বিমোক্ষানন্দ



পুণ্যব্রতে পূর্ণযোগী : স্বামী আত্মস্থানন্দ 

এক প্রেরণার উৎস : অমলিন স্মৃতিসমূহ

          - স্বামী বিমোক্ষানন্দ     

১) 

     সাধুজীবন সর্বদাই স্বচ্ছন্দে বয়ে যায় না।‌এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে নানা বাধাবিঘ্ন। পরম করুণাময় ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুযায়ী মহান সাধুদের সংস্পর্শে না আসা পর্যন্ত সাধকের সাধনা (গভীর ধ্যান, গুরুর নির্দেশ, ঐকান্তিকভাবে মেনে চলা এবং বিপদ-প্রলোভন বিষয়ে সতর্ক থাকা) কোনভাবেই মান্যতা পায় না। ঈশ্বরের আশীর্বাদে বেলুড় মঠের ট্রেনিং সেন্টারে আমার প্রশিক্ষণ চলাকালীন (১৯৭৬ -৭৮) আমি প্রয়াত পরম পূজ্যপাদ পঞ্চদশ সঙ্ঘগুরু স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজের সান্নিধ্য লাভ করার সুযোগ পাই। 

     ১৯৭৮ সালে আমার প্রশিক্ষণকাল সমাপ্ত হওয়ার তিনমাস আগে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে তীব্র সাইক্লোন ঝড় আছড়ে পরে।‌সেই ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী ঝড়কে ডিভিসীমা প্রলয় বলে অভিহিত করা হয়। এখানে রিলিফ ও পুনর্বাসনের কাজে পূজ্যপাদ আত্মস্থানন্দজী মহারাজ আমাকে ও আরও চারজন ব্রহ্মচারীকে নিযুক্ত করলেন। যার নেতৃত্বে ছিলেন প্রীতি মহারাজ। 

     এই রিলিফের কাজ চলাকালীন পূজনীয় স্বামী আত্মস্থানন্দজীকে খুব কাছে থেকে সেবা কর্মে মুখর অবস্থায় দেখার আমার সুযোগ হয়। তাঁর ছিল অফুরান প্রাণশক্তি ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি। ত্রাণশিবিরের দায়িত্বপ্রাপ্ত সন্ন্যাসী, ব্রহ্মচারী ও স্বেচ্ছাসেবকদের খুব উৎসাহ ও নৈতিক সমর্থন জোগাতেন তিনি। সাইক্লোনের কারণে রাস্তাঘাট নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় বিপদগ্রস্তদের কাছে ন্যূনতম ত্রাণসামগ্রী সরবরাহ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। এছাড়া এই কারণে প্রায় ১২০০ সাইক্লোন নিরোধকারী বাড়ি নির্মাণে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলি কিভাবে নিয়ে আসা যায় তা নিয়ে দেখা দিল সমস্যা। 

     প্রারম্ভিক পর্যায়ে সরকারি আধিকারীকরাও আমাদের বিপুল ত্রাণকার্যের বিরোধী ছিলেন। এইভাবে সবকিছুই যখন আমাদের বিপক্ষে, যখন কোনও আশার আলো দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না, ঠিক তখনই পূজনীয় আত্মস্থানন্দজী মহারাজ দেবদূতের মতো আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়ে ত্রাণকার্যে প্রেরণা জুগিয়ে চাঙ্গা করে তুললেন। ওঁর ব্যক্তিত্বটাই ছিল এমন! সাধারণ করণিক হোক কিংবা ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর, সিমেন্ট সংগ্রহের কাজই হোক কিংবা কন্ট্রাক্টরদের নিয়োগ, সর্বক্ষেত্রেই তাঁর ব্যক্তিত্বের জাদু কাজ করত -ইতিবাচক ভাবে। সমস্ত রকম কাজের মধ্যেই অদ্ভুতভাবে তিনি উৎসাহ সঞ্চার করতে পারতেন। ত্রাণকার্যে এইভাবে একজন পিতৃসম ব্যক্তিত্ব হিসেবে রক্ষকের ভূমিকা নিয়ে সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারী দলকে এক গৌরবের ভাগী করতেন। কেননা আমরাই ছিলাম সেই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যারা অন্ধ্রপ্রদেশে সেই ত্রাণকার্য প্রথম সম্পন্ন করতে সক্ষম হই।

     

২)

     ১৯৭৯ সালে পূজনীয় স্বামী আত্মস্থানন্দজী মহারাজ আমায় মঠের নতুন কেন্দ্র ইটানগরে যাওয়ার নির্দেশ দেন। সেইসময় আমি তাঁর নিকটতর সংস্পর্শে আসি। ভারত সরকারের নির্দেশে অরুণাচল প্রদেশের এই রাজধানী শহরে তখন একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তৈরির তোড়জোড় চলছে। কিন্তু ইতিমধ্যে অরুণাচল প্রদেশের আলং এবং নরোত্তমনগরে রামকৃষ্ণ মিশন পরিচালিত দুটি স্কুল থাকায় পূজনীয় মহারাজ মনে করতেন সেখানে একটি ভাল চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপনের আশু প্রয়োজন। কেননা কোনও উল্লেখযোগ্য হাসপাতাল সেইসময়ে অরুণাচল প্রদেশে ছিল না। সংকটাপন্ন রোগীদের হেলিকপ্টারে করে নিকটবর্তী আসামের হাসপাতালগুলিতে নিয়ে যেতে হতো। পূজনীয় মহারাজই একক প্রচেষ্টায় সরকারকে স্কুল তৈরির পরিকল্পনা থেকে সরিয়ে নিয়ে হাসপাতাল তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণে রাজি করান। নবনির্মিত রামকৃষ্ণ মিশন হাসপাতাল সমগ্র অরুণাচল প্রদেশের একটি সেরা হাসপাতালে পরিণত হয়। এবং এই হাসপাতালের মাধ্যমেই এই রাজ্যে ঘরে ঘরে শ্রীরামকৃষ্ণের নাম ছড়িয়ে পড়ে, মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেন তিনি। 

     ১৯৮৮ সালে আমি রামকৃষ্ণ মিশন সেবাপ্রতিষ্ঠানে নিযুক্ত হই। এই মুখ্য চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানে পোস্ট গ্রাজুয়েট কোর্সও রয়েছে। পূজনীয় মহারাজ এখানকার প্রেমানন্দ ওয়ার্ডে অসুস্থ সন্ন্যাসীদের দেখতে প্রায়ই আসতেন। যেহেতু আমি ওই ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত ছিলাম, তাই হাসপাতাল গেট থেকে মহারাজকে রিসিভ করে নিয়ে ওয়ার্ডে ঘোরানোর কাজ আমার উপরই ন্যস্ত ছিল। অসুস্থ সন্ন্যাসী মহারাজদের সঙ্গে মহারাজ কিভাবে কথাবার্তা বলতেন, পারস্পরিক আলোচনা করতেন, তা আমি গভীরভাবে লক্ষ্য করতাম। কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ ও দক্ষ প্রশাসকের (কয়েক বছর আগে রেঙ্গুনে একটি বড় হাসপাতাল দক্ষতার সাথে চালিয়ে এসেছেন) সমস্ত বৈশিষ্ট্যই তাঁর মধ্যে ছিল। কিন্তু অসুস্থ সাধুদের সঙ্গে তাঁর সস্নেহ, সহানুভূতি ও প্রেমপূর্ণ বাক্য বিনিময় ছিল বিশেষভাবে লক্ষ্য করার মত। একবার তিনি চলে যাওয়ার পর অসুস্থ-সাধুরা আমাকে জানিয়েছিলেন পূজনীয় মহারাজের পরিদর্শন তাঁদের কাছে কতটা শান্তি ও স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠত। মহারাজের মধ্যে তাঁরা বুদ্ধের হৃদয়কে অনুভব করতেন।

 

 ৩)

      সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকাকালীন পূজনীয় মহারাজ আমায় ১৯৯৫ সালে রাচি টিবি স্যানেটারিয়ামে নিযুক্ত করেন। এই স্থানটি তাঁর খুব প্রিয় ছিল। আমি সেখানে দীর্ঘ ১২ বছর ছিলাম। এই সময়কালের ভিতর পূজ্যপাদ মহারাজ সেখানে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে একবার যান। পরে এখানে সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ হিসেবেও তাঁর তিনবার (১৯৯৯, ২০০২ ও ২০০৫ সালে) শুভাগমন ঘটেছিল। আমি থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে তাঁর সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ রূপে প্রথম শুভাগমনের স্মৃতি কখনও ভোলার নয়। মনে পড়ে, ক্যাম্পাসের চারিপাশ পরিদর্শনকালে আমি তাঁকে কর্দমাক্ত পিচ্ছিল রাস্তা সম্পর্কে সতর্ক করে দিয়েছিলাম। সকালে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হওয়ায় পথ কর্দমাক্ত পিচ্ছিল হয়ে পড়েছিল। উনি শান্তানন্দ কুঠিয়ার দিকে যেতে চাইছেন, আমি জানতাম। কুঠিয়ার কয়েক গজ দূরে পৌঁছে ঐ কর্দমাক্ত পথের উপরেই সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করলেন, যা দেখে উপস্থিত আমরা সকলে হতবাক হয়ে গেলাম। স্বামী শান্তানন্দজী সম্পর্কে কোনও প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে, কিংবা পূজনীয় মহারাজ তাঁর সম্পর্কে যখন কিছু বলতেন, তখন ভক্তি, আবেগ, বিশ্বাস, তাঁর মধ্যে যেন ঘনীভূত হয়ে উঠত। যাইহোক, কুঠিয়ার অবহেলিত ভগ্নদশা দেখে তিনি সেদিনই সেটি সংস্কার সাধনের উদ্দেশ্যে পিয়ারলেসের সুনীলবাবুকে আশি হাজার টাকা অনুদান পাঠানোর নির্দেশ দিলেন। সংস্কারের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার পর ১৯৯৯ সালে পূজনীয় মহারাজই এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, এবং কুঠিয়ার নামকরণ করা হয় -শান্তানন্দ কুঠিয়া। 

      পূজ্যপাদ মহারাজ পরম পূজনীয় শান্তানন্দজী সম্পর্কে কি বলেছিলেন তা বলব। শান্তানন্দজী শ্রীশ্রীমায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতেন! ১৯৫২ থেকে ৫৮ সাল পর্যন্ত আত্মস্থানন্দজী এই রাঁচি কেন্দ্রে সহ-সম্পাদক হিসাবে কর্মরত ছিলেন। সেই সময়ে হাসপাতাল চালানোর প্রয়োজনীয় অর্থবল না থাকায় ওই কেন্দ্রের তৎকালীন সম্পাদক স্বামী বেদন্তানন্দজী (অনুকূল মহারাজ) ভীষণ উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। একদিন শান্তানন্দ মহারাজ তাঁর কুঠিয়ার (এখন যার নাম শান্তানন্দ কুঠিয়া) বারান্দা থেকে লক্ষ্য করলেন যে অনুকূল মহারাজ বেশ মনমরা অবস্থায় রয়েছেন। এর কারণ জানতে চাইলে অনুকূল মহারাজ জানালেন যে হাসপাতালের কাজ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থবল এতই অল্প হয়ে পড়েছে যে, তিনি ভাবছেন স্যানেটারিয়াম বন্ধ করে দেওয়ার কথা বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষকে জানাবেন। 

      এই কথা শুনে শান্তানন্দজী তৎক্ষণাৎ মৃদু ভর্ৎসনা করে তাঁকে বললেন যে, তিনি প্রথমে মায়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলবেন, তারপর ফলাফল কি হয় জানাবেন। এরপর তিনদিন কেটে গেল, অনুকূল মহারাজ কুঠিয়াসংলগ্ন রাস্তা দিয়ে যাচ্ছেন এমন সময় কুঠিয়া থেকে বেরিয়ে এসে শান্তানন্দজী চিৎকার করে তাঁকে ডাকলেন, "অনুকূল তাড়াতাড়ি এস। তোমার জন্য একটা খুশির সংবাদ আছে।" অনুকূল মহারাজকে তিনি বললেন যে, তাঁর সঙ্গে শ্রীশ্রীমায়ের কথা হয়েছে এবং তিনি জানিয়েছেন স্যানেটারিয়াম বন্ধ করে দেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই, প্রয়োজনীয় অর্থ শীঘ্রই পাঠিয়ে দেবেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ঘটে গেল সেই আশ্চর্য ঘটনা লণ্ডনের এক ব্যারিস্টার পূজ্যপাদ আত্মস্থানন্দজীর হাতে তুলে দিলেন পনেরো লক্ষ টাকার একটি চেক।

    ৪)

      আত্মস্থানন্দজী মহারাজ সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ হওয়ার পর প্রথমবার রাঁচি কেন্দ্রে আসার আগে এখানকার ডুংরি গ্রামের অধিবাসীদের জানিয়ে দিলাম, মহারাজ এখন দীক্ষা দান করছেন। দীক্ষাদানের অধিকারী হয়েছেন তিনি। পঞ্চাশের দশকে এই সেনেটারিয়ামের সহ-সম্পাদক পদে থাকাকালীন বিভিন্ন ওয়ার্ডের নির্মাণ কাজে তিনি ছিলেন মূল উদ্যোগী। শুধু তাই নয়, আমাদের ক্যাম্পাসের মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে একটি প্রয়োজনীয় বাঁধ বিশেষভাবে নির্মাণ করিয়েছিলেন। মুণ্ডা উপজাতি অধ্যুষিত গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠরা মহারাজকে এক হৃদয়বান উদ্দীপ্ত সন্ন্যাসী হিসেবে মনে রেখেছিলেন। এর ফলে সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ হয়ে এখানে আসার পর অনেকেই মহারাজের কাছে মন্ত্র দীক্ষা গ্রহণ করেন। 

      ২০০২ সালে ২৬ শে মে পূজ্যপাদ মহারাজ তৃতীয়বারের জন্য সেনেটারিয়াম পরিদর্শনে আসেন। এখানে তাঁর অবস্থানকালের সঙ্গে বুদ্ধপূর্ণিমা তথা বহু পরিচিত Thrice-Blessed-Day-এর যেন সমাপতন ঘটে। বুদ্ধ পূর্ণিমাকে thrice blessed day বলা হয় কারণ এই পূর্ণিমা তিথিতে বুদ্ধর জন্মদিন, তাঁর নির্বাণের দিন, ও তাঁর মহাপ্রয়াণের দিন, একসঙ্গে পড়ে। সেনেটারিয়ামে আগত ভক্তদের কাছে পূজনীয় মহারাজের অবস্থান কিভাবে এমন হয়ে উঠেছিল তা কলকাতা থেকে আগত এক ভক্তের কথায় বোঝা যায় : 'বাস্তবিকই ২০০২ সালের ২৬ শে মে'র দিনটি আমাদের কাছেও হয়ে উঠেছিল Thrice Blessed Day. কেননা ওই দিনটিতে আমরা তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলাম। প্রথমত সকালে মন্দিরে ঠাকুর, শ্রীশ্রীমা ও স্বামীজীর পুরনো ফটো সরিয়ে নতুন ফটো স্থাপন করেন পূজ্যপাদ সহ-সঙ্ঘাধ্যক্ষ মহারাজ। দ্বিতীয়ত পরম পূজনীয় একাদশ সঙ্ঘগুরু গম্ভীরানন্দজীর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে একটি স্মারক পুস্তিকা প্রকাশ করেন তিনি। সেইদিন গম্ভীরানন্দজীর শততম জন্মদিন আনন্দের সঙ্গে উদযাপন করেন উপস্থিত সন্ন্যাসীবৃন্দ।  তৃতীয়ত সন্ধ্যাবেলায় মহারাজ ভগবান বুদ্ধের বিষয়ে একটি বক্তৃতা প্রদান করেন এবং এরপরে ধ্যান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় তাঁর নির্দেশনায়। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই দিনটি ছিল পূজনীয় মহারাজেরও জন্মদিন। 

      যেহেতু পূজনীয় মহারাজ এই রাঁচি কেন্দ্রে আগে সহ-সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তাই তিনি সংলগ্ন গ্রামের দারিদ্র বিষয়ে সম্যকভাবে জানতেন। এই গ্রামের শিশুদের অপুষ্টিজনিত সমস্যা, তাঁর তীক্ষ্ণ নজর এড়িয়ে যায়নি। ১৯৯৯ সালের এক সকালে মর্নিং-ওয়াক করতে করতে মহারাজের সঙ্গে ইন্ডোর ওয়ার্ডের দিকে যাচ্ছি, হঠাৎ তিনি আমার দিকে ঘুরে জিজ্ঞাসা করলেন, "এখানকার শিশুদের জন্য দুধ দেওয়ার বন্দোবস্ত করছ না কেন তুমি? আমি দেখছি তোমার ডেয়ারি ফার্ম এখন আকারে অনেক বেড়েছে এবং এখানকার দুধ প্রকৃতই ভাল গুণমানের।" কিছুক্ষণ চুপ থেকে আবার বলতে শুরু করলেন, "শিবলিঙ্গের অভিষেক অনুষ্ঠানে আমরা কত দুধ ব্যবহার করি, ভেবে দেখ! এই দুধ যদি এইসব শিশুদের উদরপূর্তিতে ব্যবহার করা হয়, তাহলে শিব প্রকৃতই তুষ্ট হবেন।


*********************************************************************************************


*******************************************************************************************

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন