মধুপর্ণা বসু / দুটি কবিতা
ছন্ন ভাবনা
বিস্তর ভুলের সাথে নিজেকে মানিয়ে গুছিয়ে
রেখেছি।
অথচ সবই ছিল একই কেন্দ্রবিন্দু চক্রের আবর্তে।
প্রত্যেক ঋতুতে নতুন করে পাতার আল্পনা
জড়িয়ে নতুন যোগফল সাজিয়েছিলাম, যত্নে।
চোখের সামনে সাজানো সম্ভার প্রায়শই
চোখের বালি হয়ে ওঠে।
এও তেমনি, ধীরেসুস্থে আমিও প্রদীপের শিখার নীচে
অন্ধকারে ঝুলকালি হয়ে ঝুলে রইলাম
ঘরবাড়ি সংসারের আসবাবপত্রে...
নিজের অস্তিত্ব চেনার চ্যালেঞ্জে নানা পরীক্ষায়
ঝুটা জিত যেদিন জেনেছি, ততক্ষণে জবরদখল হয়ে গেছে
মান ভূমি,
অপেক্ষা বড় দীর্ঘ ছিলনা, হয়েত সদিচ্ছা
আরও কম;
কাঁচের স্বর্গ ভেঙে রক্তাক্ত পাঁজরের গভীর --
কেন যে আজও ছাড়িনি সাগরের বেলাভূমি,
ছাড়েনি নিত্য বালির ঘর।
বিপরীত অর্থ
লাল রঙ! আর পোর্ট ওয়াইন!
চিরকাল প্রিয় ছিল বলেই, ত্যাগ করেছি,
বরাবরের মতো অর্ধস্বচ্ছ নিতান্ত কৌতুক!
এখন হরমোনের প্রাদুর্ভাব চোখে পড়ার মতো।
কবেই হেরে গেছে প্রেমের দুধে-আলতা প্রশ্রয়,
চোখের পাতায় প্রেম প্রেম খেলার উদভ্রান্ত ছুট্
নিয়মিত বিপি, মধুমেহ চেকপোস্ট ছুঁয়ে যায়...
শুধু আপদ মন নাটুকে চোখে ছুঁয়ে থাকে
বুকের বিপদসংকেত আর ইসিজির স্পর্শ রেখা।
ডুবে থাকে নেশার মতো অস্পষ্ট, আকণ্ঠমগ্ন
মুহূর্তের প্রয়োজনীয় অশ্রুদাগের পেয়ালায়।
****************************************************************************************************
কলিকাতা আলিপুর অঞ্চলে বাড়ি। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর এবং বি.এড পাশ। পারিবারিক ব্যবসার সাথে যুক্ত। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় লেখার সাথে সোশাল মিডিয়ায় নিয়মিত লেখালেখি। প্রথম কবিতা সঙ্কলন ২০১৯ এ 'মেঘের চিঠি ', দ্বিতীয় কবিতার বই ২০২২ শে 'মোহনার দিকে'। নানা পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখার সাথে যুক্ত।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন