মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

অলোক পুষ্পপুত্র



অলোক পুষ্পপুত্র / দুটি কবিতা

কুমারসম্ভব 








কপালের ঘাম শুষে নিয়ে বাতাস বলল, আসি

চেরাপুঞ্জির বালিকা আছে আমার অপেক্ষায়

একা কালিদাস কেটে চলে ঘাস, মেঘ ঘুড়ি-সন্ন্যাসী!


খড়ি-ওঠা ত্বক, চোখের কাজল, এক অক্ষরচাষী

পাহাড়ের গায়ে লবণ ছিটিয়ে বাতাসকে চমকায়

স্লেটপাথরে লিখছে বালিকা, অক্ষর ভালোবাসি!


ভোকাট্টা হলে ঘুড়ি-মেঘ-জল উপত্যকা বানভাসি

ঘাসকাটা বাকি অন্ধ জোনাকি ভিজে দেশলাই

খুঁজছে আগাছা আগ্নেয়চাষা, বালিকার হাতে বাঁশি!



চক্রবর্তী

ভালোবাসা ডাক দিলে কবি যায় চাঁদের পাহাড়ে

যেখানে নীল আমস্ট্রং পুঁতেছেন পতাকাখানি

ধরিত্রীর--- দণ্ড ধরে কবি দেয় হালকা ঝাঁকুনি

ইস্পাতের ফুলগুলি শব্দ তোলে মাটির পাথরে


ভালোবাসা ফেরালে মুখ কবি চলে যমুনাকিনারে

দর্পনে দেখে নেয় ভেঙে-যাওয়া অক্ষরমালা

কাগজের ফুল হয়ে ঝরে পড়ে জলের কবরে

যেখানে বংশীধ্বনি বাজাতেন চিকন কালা...


মঙ্গলে দেয় পাড়ি কোনো কবি মহাকাশচারী

যেখানে ডাকেনি প্রেম এবং ফেরায়নি আলো

নিজের কবিতাযান--- সময়কে খুব চমকালো

ভালোবাসা তার কাছে বড় ঘর, হাজারদুয়ারি


ভালোবাসা আছে-নেই মাথাব্যথা উপবীতধারী

কবি খোঁজে রক্তমাংস মহাজ্ঞানী স্যারিডন-নারী!


***************************************************************************************************



অলোক পুষ্পপুত্র

অলোক পুষ্পপুত্র(জন্ম ১৯৭২) আদতে গদ্যকার। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ "একটি রূপকথার জন্ম" তাঁকে ব্যতিক্রমী গদ্যশিল্পী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কাব্যে অলোক সনাতনী ধারার বাহক। তাঁর চতুষ্পদী কাব্যগ্রন্থ "চার(যা)পদ"-এর সাফল্যের পর তিনি মেতেছেন চতুর্দশপদী নিয়ে। নিপুণ দক্ষতায় পুরাতনী পয়ারের কাঠামোয় গড়ে চলেছেন আধুনিক বিষয়। এখানে অবশ্য আমরা পড়ছি ভিন্ন আঙ্গিকে লেখা তাঁর দু'টি কবিতা।   

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন