অলোক পুষ্পপুত্র / দুটি কবিতা
কুমারসম্ভব
কপালের ঘাম শুষে নিয়ে বাতাস বলল, আসি
চেরাপুঞ্জির বালিকা আছে আমার অপেক্ষায়
একা কালিদাস কেটে চলে ঘাস, মেঘ ঘুড়ি-সন্ন্যাসী!
খড়ি-ওঠা ত্বক, চোখের কাজল, এক অক্ষরচাষী
পাহাড়ের গায়ে লবণ ছিটিয়ে বাতাসকে চমকায়
স্লেটপাথরে লিখছে বালিকা, অক্ষর ভালোবাসি!
ভোকাট্টা হলে ঘুড়ি-মেঘ-জল উপত্যকা বানভাসি
ঘাসকাটা বাকি অন্ধ জোনাকি ভিজে দেশলাই
খুঁজছে আগাছা আগ্নেয়চাষা, বালিকার হাতে বাঁশি!
চক্রবর্তী
ভালোবাসা ডাক দিলে কবি যায় চাঁদের পাহাড়ে
যেখানে নীল আমস্ট্রং পুঁতেছেন পতাকাখানি
ধরিত্রীর--- দণ্ড ধরে কবি দেয় হালকা ঝাঁকুনি
ইস্পাতের ফুলগুলি শব্দ তোলে মাটির পাথরে
ভালোবাসা ফেরালে মুখ কবি চলে যমুনাকিনারে
দর্পনে দেখে নেয় ভেঙে-যাওয়া অক্ষরমালা
কাগজের ফুল হয়ে ঝরে পড়ে জলের কবরে
যেখানে বংশীধ্বনি বাজাতেন চিকন কালা...
মঙ্গলে দেয় পাড়ি কোনো কবি মহাকাশচারী
যেখানে ডাকেনি প্রেম এবং ফেরায়নি আলো
নিজের কবিতাযান--- সময়কে খুব চমকালো
ভালোবাসা তার কাছে বড় ঘর, হাজারদুয়ারি
ভালোবাসা আছে-নেই মাথাব্যথা উপবীতধারী
কবি খোঁজে রক্তমাংস মহাজ্ঞানী স্যারিডন-নারী!
***************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন