মোহাম্মদ হোসাইন / দুটি কবিতা
শুদ্ধতা উচ্চারিত শব্দের নাদ
গান যেমন শুদ্ধ, কবিতা যেমন শুদ্ধ, সব শুদ্ধ তোমার মাঝে
সেই শুদ্ধতাই ছড়িয়ে দিয়েছি সব সবখানে, সবকিছুতে...
অন্ধকার না থাকলে যেমন অন্ধকার চেনা যায় না
অন্ধকার না থাকলে তেমনি নিজেকেও চেনানো যায় না...
অপরিনাম বোঝানো যায়না...
তুমি আমার অপরিনাম তুমি আমার অন্ধকার
আর সেই অন্ধকারেই আমি দেখি ভাল বুঝি ভাল...
অন্ধকার আলো দিয়েই মোড়ানো থাকে
তাই আলো যেমন শুদ্ধ অন্ধকারও তেমনি শুদ্ধ
আমি সেই শুদ্ধতাই তোমাকে দিয়েছি
সেই শুদ্ধতার কাছেই নত হয়ে আছি চিরকাল...!
ভালবাসা পাখির ডানার মতো, মাঠের ভিতর ঢেউ খেলানো ঝিরিঝিরি
হাওয়ার মতো, বুক ফেটে বেরিয়ে আসা হাহাকারের মতো...
ভেজা রোদ্দুর যেমন শুদ্ধ চোখের জল যেমন শুদ্ধ
সব শুদ্ধতা তোমার, সমস্ত নম্রতা তোমার...!
আমি ভোরকে, ভোরের কোমল রোদ্দুরকে
আকাশের সমস্ত শুভ্রতাকে সন্ধ্যার পবিত্র রাগ করে নিয়েছি...
সেই রাগ, সেই ইমন, ভৈরো বিলাবল সব তোমার, সবকিছু তোমার...
সমস্ত বৃষ্টি তোমার, বৃষ্টির ফোঁটা তোমার, মেঘ তোমার...
তুমি সেই শুদ্ধতার মাঝেই উচ্চারিত শব্দের নাদ...
নৈঃশব্দ্যের বিপুল আধার...!
তোমাকে আমি সেভাবেই বুকে ধরে রাখি...
একদল কবর
একদল কবর এসে পথ আগলে রাখে
সে পথ দূরের বাতিঘর; তখন আমি পথ ভুলি না।দিশা পেয়ে যাই।
এতদিন যে গান আমার হৃদয়ে ছিল, আজ দেখি সে গান আকাশের
গায়ে পাখা মেলেছে, পাতার মর্মরে অবিরল গীত হতেছে।
মানুষের ভেতরেও কত অপূর্ণ মানুষ লুকিয়ে আছে হায়! কেউ তার
খোঁজ রাখে না।
মাছের আঁশটে গন্ধ অশান্ত ঢেউয়ের ভেতর, ঘোরলাগা ঘূর্ণির ভেতর
পলাতকা রৌদ্রের মত জ্বলে, আমি সে অমল রোদ আমার বুকের
ভেতর মুঠো মুঠো জ্বেলে রাখি।
কেউ কি জানে বিবাগি বাউলেরা কত কান্নাচূর্ণ সত্যের মত জোনাকির
আলোয়
পথে প্রান্তরে ফেলে রেখে যায়? শিলাখণ্ডে, এপিটাফে হয়তো সে কথা
লিখা রয়েছে...!
**************************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন