' অদ্ভুত এক আত্মিক হাহাকারের সাক্ষী ' কবিমন যন্ত্রনায় দগ্ধ। ' প্রানে উৎসারিত মধুকর গুঞ্জন / চুইয়ে পড়া নীল কিছু জলরাশি / আর অন্তরের দু'একটি বুদবুদের বিস্ফোরণ ' যা একান্ত জরুরি ছিল সত্তার উত্সারণে ,তা এই মুহূর্তে ' তালগোল পাকাচ্ছে অবিরত---' লম্বা লম্বা পেরেকে হৃদয়ে গেঁথে ' দেওয়া ছাড়া নিরুপায় কবি । এভাবেই সময়ের হাহাকারে বেজে ওঠে কবির কলমে । পড়ছি----
কবি সপ্ না সাহা-এর দুটি কবিতা
---সময়ের হাহাকার লিখে রাখি---
আমারই ক্লান্ত ভাষায়
এ কোন শোক দিবস লিখে চলেছি
অদ্ভুত এক আত্মিক হাহাকারের সাক্ষী আমি---
প্রানে উৎসারিত মধুকর গুঞ্জন
চুইয়ে পড়া নীল কিছু জলরাশি
আর অন্তরের দু'একটি বুদবুদের বিস্ফোরণ
তালগোল পাকাচ্ছে অবিরত---
লক্ষ্যভেদে অপটু মন উত্তরাধিকার খুঁজে
যেন দিশেহারা
কুঁকড়ে যাচ্ছে চিন্তার জলরাশি
শুদ্ধভাবে ভাবতে গিয়ে বারবার অবচেতনে
নিয়মের আগুনে নিজেকে পুড়িয়ে ফেলছি
এ যেন অন্য এক স্রষ্টার হাহাকার
অন্য এক সময়ের জন্মদিন দেখে চলেছি যেন
যেখানে সফলতা নিয়ে, সার্থকতা নিয়ে,
পবিত্রতা নিয়ে বড় বেশি খোঁজ খোঁজ
সেখানেই আমার বিরূপ হওয়া----
চারিদিকে প্রীতির বন্ধন শিথিল হচ্ছে দ্রুত
রীতিনীতির নিগড়ে বাঁধা মানুষের
সময় যন্ত্রণা বাড়ছে, জ্ঞান-বিজ্ঞান হীনতায়
মানুষ ডুবে যায় অন্তর্জালের নিগড়ে---
এ এক অদ্ভুত ক্লান্ত সময়
শুধু হাহাকারের চিল চিত্কার
লম্বা লম্বা পেরেকে হৃদয়ে গেঁথে দিলাম আর
একবার----
-খরকুটো ভেসে গেছে সেই কবে---
এখন আমরা মানবতাহীন এক পৃথিবীর
অস্থির সময়ের সাক্ষী
তবুও
বুকের সমস্ত ভয় অন্ধকার ধুয়ে অপেক্ষা করছি
এক চিলতে ভোরের আলোর দিনগুলোর দিকে
জানি শরীর মরেছে ,মরেছে মন
উড়তে উড়তে লক্ষ্যহীন হয়েছে স্বপ্ন
তবুও মজা নদীর পাড়ে শরতে কাশের গুচ্ছে
আলো ফুটলে ---
জীবনের বহু ভাঁজ খুলে আহ্লাদ মাখতে এগিয়ে আসে
আমাদের মা ও কিছু মায়াবী সময়---


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন