মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

পলাশ দাস

 


' ক্ষীণ দহন জেগে উঠলে / অবারিত ছায়াচ্ছন্ন গাছের পাতার নিচে / দাঁড়িয়ে যাওয়া / চিরুনির প্রত্যেক দাঁত মনে পড়ে '  চেতনার গভীর থেকে উঠে আসা এমন উচ্চারণ যে কবির , তাঁর কবিত্বশক্তি সম্পর্কে নিঃসংশয় হওয়া চলে । জীবনকে দেখার নির্মোহ দৃষ্টি তাঁর কবিতার ভিতর ছায়া ফেলে । পড়ছি ----



কবি পলাশ দাস-র দুটি কবিতা 


চিরুনি 


ক্ষীণ দহন জেগে উঠলে 

অবারিত ছায়াচ্ছন্ন গাছের পাতার নিচে 

দাঁড়িয়ে যাওয়া 

চিরুনির প্রত্যেক দাঁত মনে পড়ে 

আর তাদের ফাঁক গলে চলে যাওয়া 

কিচকিচে ধুলোবালি আবহাওয়ার ভিতর 

কিছু মুখ, 

আমি দেখি না 

ভেসে ওঠা পুকুরের নির্জন পানা 

ভাড়ার ঘর, ভাড়াটে একরাশ, একটা পথ, একটাই কল, 

বাথরুম, পায়খানা আর কানামাছি লাইনে দিন উৎযাপন 



 চলা


পথ হাঁটতে হাঁটতে থমকে যাই 

ঋদ্ধ হওয়ার মতো একটা ঝিম লাগে 

পথ থেকে অচানক সরে আসি কখন


সরে আসি, কী ঠিক হল বলা ?

সরে গেছি, কোনো মুহূর্ত সাক্ষী না রেখে 


তারপর সিঁথি পথ 

রঙিন কী মেঘলা মনে পড়ে না,  

চলা - 


অগ্র পশ্চাৎ সব ভুলে গিয়ে, 

ভুলে যাই ঠিক কী ভাবছিলাম একটু আগেই 

বাড়ি থেকে কোন দরকারি কাজে বেরিয়েছি 

কোন ওষুধ কিনতে হবে 

এইসব - 


সব ভুল একটা ফ্যাকাসে বিকেল খুঁজে দেয়   

হাতে ঘুমের ওষুধ 


বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে পড়ি 

আমাকে কেউ বলে না জেগে থাক 

সিকি আধুলি মিটমিট করে জ্বলে নীল পর্দার বুকে  




                                                         


                             

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন