শব্দ আর কল্পনার সাযুজ্যে মায়াবী গীতিময় এক অননুকরণীয় কবিতাভাষায় একের পর এক কবিতা রচনা করে চলেন কবি চন্দন রায় । তাঁর জীবন সম্পৃক্ত উচ্চারণে,তাঁর প্রতিটি স্বর বিক্ষেপে আমরা মুগ্ধ হই। তাঁর ' শুদ্ধ অন্ধকার ' এবং ' একটি দেখার বিপরীতে ' দুই সিরিজের দুটি কবিতা এখানে আমরা পড়ছি ----
কবি চন্দন রায়-এর দুটি কবিতা
শুদ্ধ অন্ধকার ---২২
উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঘন মেদ এবং মাদুলি
আমি হাঁটছি
আমার পাশে তুমি
তোমার পাশে ধ্বংসের
অন্ধকারের ভিতর এক এক ভাবে এক এক রকম
জঙ্গলের পাটাতনে----
আমার রক্ত
তোমার সাবিত্রী মুখ
বিছানায় একসাথে ভরাট অস্তিত্ব
বাতাসে হাঁ করে দাঁতের নিচে বিষাক্ত ঘুম
চোখ দূর দুরন্ত ভ্রমণে ঝিঁ ঝিঁ ডাক, ক্লান্ত
সন্তান আসেনি----
তুমি রোজ আমার সাথে হেঁটে যাও
তুমি রোজ এককথা উচ্চারণে প্রাণখুলে হাসো
আমাদের উত্তরাধিকার বলে কিছু থাকবে না----
একটি দেখার বিপরীতে --- ৪২
তুমি কি এখনও স্বপ্ন দেখো
যা সন্ধে পাড় করে বৃষ্টি ভেজা কোন এক রাত,
বিকেলের শেষ ট্রেন জিতে যাওয়ায় ঠোঁটের কোণে
খুঁজে না পাওয়া ঠিকানার বিস্ময়----
আমি দেখতে পাই না।
আমার বাড়ির পিছন
মাঠে মাঠে ধরাশায়ী গাছ, পাখিরা
পদমপাতার ওপর ভাসমান লক্ষ্মীর পাঁচালি
ঘন ঘন চিৎকারে হলধরের বউ জ্ঞান হারিয়ে মাটির
দাওয়ায় স্থির, দুধের মুখ সেদিকে তাকিয়ে পুনরায়
ভুট্টার দানা চিবচ্ছে, দু'দিকের খাদ বেয়ে জল এখন
মেজবৌয়ের ঘরের বিছানায়, সাপ গরম জল খাবে বলে
বৌদির ঊরু চেপে ধরেছে----
"মেঘ বলেছে যাব যাব"------
তুমি কি এখনও সেই স্বপ্ন দেখো !


অসামান্য রচনা । এমন কবিতা পড়ার পর কোনো মন্তব্য য্যথেষ্ট নয় বলে মনে করি।
উত্তরমুছুনদুটি অসামান্য কবিতা। পাঠককে বহুদিন ভাবাবে
উত্তরমুছুনভীষণ সুন্দর দুটি কবিতাই
উত্তরমুছুন