অত্যন্ত শব্দ সচেতন,গভীর ভাবনা প্রসূত প্রত্যয়ী উচ্চারণ কবি হৃদয় হোম চৌধুরীর কবিতায় অনুরণিত হয় । ' কথা ফুরিয়ে এলে জলের কাছে যাই।' কারণ সেখানে খোলা ' মৃত্যু পাঠের বই।' তাতে কবি লিখে নেবেন ' মেঘ ও মাটি কথা ' কিংবা ' যমরাজ একলা দাঁড়িয়ে শোনায়,স্তবগান / জাতিসংঘের মতো তারও যে নেই বিরাম '। পড়ছি ----
কবি হৃদয় হোম চৌধুরী-র দুটি কবিতা
অসময়ের কবিতা
জোনাকির ক্ষীণ আলো যদি মেটায় অন্ধকার
সুযোগ দেবে,তোমার এল ইডি তে চাপাবে নাকি ভার?
জীবন, পিশাচের মতো দাপাদাপি করে দেশে
অবিরাম বুলেট ছোড়ে কাবুলিওয়ালা সেজে
তবু সূর্য ওঠে, পেস্তা বাগান হয় আনমনা
ভেবেছিলাম সময়ের ছুটি,চলে যায় শুধু মান
আশার আলোর মোড়কে এসব বিকল্প বেদনা
যমরাজ একলা দাঁড়িয়ে শোনায়,স্তবগান
জাতিসংঘের মতো তারও যে নেই বিরাম
বেনিয়মী মৃতুফাদে ফেঁসে গেলে অশরীয়তি নারী
ভয় তার অবয়ব নয়,ভেবেছে কোন ধর্মের এই নাম?
পারেনি তখন,পারেনি এখন,ফেরাতে স্বাধীন বাড়ি।
ধূসর কথা
কথা ফুরিয়ে এলে জলের কাছে যাই।
ভবিতব্য?এ ভাবনা অসাড়,শুধু ভাবুন,
এই ধারনা মহুয়া গাছের নীচে মৃত্যু পাঠের বই।
যেন জীবন বৃষ্টির সঙ্গত,মেঘ ও মাটি কথা বলে
যখন গাছেদের ক্ষত অবলোকনের খেয়া।
তবুও,ভাগ্যগণিকা টিয়া আমি
শহরের নাগরিক সব আনন্দ পকেটে ভরে
গোপন ঘরের কুঠুরিতে লুকিয়ে রেখেছে....
বুড়ো পেঁচার ধূসরতা কষি একা,
হিসেব রাখি মনে, তাদের কথা
শেষ হয়েছে বলে এক টুকরো রুটিও ছিল না অবশেষে


দ্বিতীয়টি বিশেষ করে চমৎকৃত করল। ভালো থেকো
উত্তরমুছুনএই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
মুছুন