মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

দীপ্তিশিখা দাস



' জলফড়িংএর মতো নেচে ওঠে পুকুর ঘাটে বাঁশির সুর। / নোনা প্রেমে যেন মিলিয়ে যাচ্ছে অস্থির বিকেলে হেমন্তের আকাশ ---' কবিতার যে নিঃসীম মায়া,যা অস্থির করে কবিপ্রাণকে, তা যেন কবি দীপ্তশিখা দাসের এই দুটি পঙক্তিতে কান পাতলে শোনা যায় । শব্দের কাছে ,কবিতার কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি আরো ব্যাপ্তি পাক । পড়ছি -----



কবি দীপ্তিশিখা দাস-এর দুটি কবিতা 


কে কার জন্য এসেছে



কে কার জন্য এসেছে ঝড়ো প্লাবনে ? 

কতটা রাস্তা জুড়ে ঝরে পড়ছে কথা ও কাহিনী ?

কোথায় শেষ লেখা আছে পথের সীমানা? 

ছিঁড়ে গেছে চোখের বাঁধন ....। 


চলতে চলতে খানিকটা বেঁচে পুরোটাই মরে যাওয়া। 

যে গল্প লেখে সেও কি তাহলে মরে যায় ?

না হলে এমন শেষ হয় কীভাবে?


একটা বিশ্বাস যে দিকে চেয়ে একটু একটু করে বড় হয়, দৃঢ় হয়

সেই বিশ্বাসেইবা ভরসা পায় কি করে সময়ের উপর? 

  

বিদায় জানানোর পায় না সময় তাতে, যে যাবার সে চলে যায়। 

  

মানতে চায়না 

বুঝতে চায়না তবুও সে, জোর করেই বোঝানো ;                                  


কোথাও আছে গোপন!!!



চেয়ে থাকি বিসর্জনে


প্রতারিত 

সেই জীবনের মুখোমুখি হয়ে যারা বাসলো ভালো, 

তারা কি বেঁচে আছে? 


জলফড়িংএর মতো নেচে ওঠে পুকুর ঘাটে বাঁশির সুর। 

নোনা প্রেমে যেন মিলিয়ে যাচ্ছে অস্থির বিকেলে হেমন্তের আকাশ -------;

রহস্যে ভরা দিগন্তের নীল ছাউনিতে  আর কে চায় পথিক হতে . ....!


কীসের অভিমানে উড়ে যায় হংসবলাকার  দল 

দূর বহুদূরে 


মাঝিহীন নৌকায় ভেসে চলে কার প্রতিমা? 


চেয়ে থাকি কতকাল ধরে এই বিসর্জনে . ..... ?




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন