মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

গোবিন্দ মোদক



' অনন্তের পাখা মেলে / নিঃসীম সুড়ঙ্গ পার হই চিরকাল ' জীবন-মৃত্যুর ওপারে যে অনন্ত অসীম, আসা-যাওয়ার যে চিরন্তন খেলা...তাকে যেন ছুঁতে চান কবি ' কৃষ্ণগহবরের আহবানে' আবার আধুনিক সভ্যতার অন্তঃসারশূন্যতা বিচলিত করে কবিমনকে। ' অথ: সভ্যতাকথা' কবিতায় তারই প্রতিফলন। পড়ছি -----



কবি গোবিন্দ মোদক-এর দুটি কবিতা  


কৃষ্ণগহ্বর


অদ্ভুত আঁধার পেরিয়ে 

এ এক উজ্জ্বল সকাল ---

কখনও ভাসি .... কখনও ডুবি ....

কখনও উঠি .... কখনও নামি ....

পার হয়ে যাই অজস্র নক্ষত্র-পথ .... 

বেলোয়াড়ী ঝাড়বাতির মতো

                       অচেনা সৌরজগৎ,  

দুধ-সাদা মোলায়েম পথ .... 

ঘন কালো মুখগহ্বর ....

       পার হই সময়ের চেনা পথ ....।


ভিড় করে আসে ন্যায্য অতীত

ফিরে ফিরে আসে বারবার 

                     দু'চোখের সামনে ....

ছুঁয়ে দিই সবকিছু ....

আমারই ছোঁয়ায় ঘন হতে হতে

আরও ঘনীভূত হয় সময় ....

অনন্তের পাখা মেলে 

নিঃসীম সুড়ঙ্গ পার হই চিরকাল

কৃষ্ণগহ্বরের অন্তিম আহ্বানে ....। 



অথঃ সভ্যতা কথা 


সভ্যতার নাকি একটাই বাজে স্বভাব ---

শুধু সামনের দিকেই এগোয় !

কাজেই প্রাগৈতিহাসিক প্রত্ন-কথা ছেড়ে 

একসময় লেখা হয় শিল্প-বিপ্লবের কথা।

শীলমোহরের ছাপ বদলে দেয় ঝাঁ-চকচকে মাল্টিপ্লেক্স, 

এভাবে একসময় দেখা যায় ---

এ-গ্রামের লোক আর ও-গাঁয়ে যায় না,

ও-পাড়ার লোক আর এ-পাড়ায় আসে না, 

এ-বাড়ির লোক আর পাশের বাড়ির লোককে চেনেনা। 

একই ছাদের নিচে দু'টি পরিবার বাস করলেও 

তাদের মাঝে বাস করে একটা ফেসবুকের দেওয়াল। 

এ-ঘর থেকে হাজব্যান্ড চ্যাট করে ---

হাই ! এখন কি যাবো ? আর কতো দেরী ? 

ও-ঘর থেকে 'বেটার-হাফ'-এর উত্তর আসে ---

না ডিয়ার ! আমি এখনও আনড্রেস করিনি !



প্রকাশিতব্য গ্রন্থ 


পদ্য ভরা আমার ছড়া * ছন্দ ভরা আমার ছড়া * 

রূপকথার রূপ-কথা * ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ *

গুপ্তধনের সন্ধানে * জীবনের রোদ-রং ইত্যাদি।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন