গৌরীশঙ্কর দে / দু'টি কবিতা
বিন্দু
তুমি কি শূন্যের চেয়ে আরো ছোট হতে চাও নাকি
বড়ো? পরো পরো চৈতালী রাতের শাড়ি মনোলোভা।
নিজেকে আড়াল করে প্রকাশ করেছ যত ফাঁকি
তাই দিয়ে জড়ো করো মননে আকাশ ক্ষণপ্রভা?
ছুঁয়েছ আচ্ছন্ন দেহ, প্রাণ দাও, গান দাও দেখি।
অসীম, চালাকি জানে বদ্ধমূল ধারণা তোমার,
সন্ধ্যা তীব্র দ্রোহে মানসরোবরে ফুটে আছে, এ কী
তার শান্ত রূপ, মেঘে জলে রঙ গুলে আল্পনার
শিখা উঠে গেছে। ওই পারে অভুক্ত তৃণাচ্ছাদিত
আকাশের স্মৃতিপথে ছড়ানো শ্রাবণী পথরেখা।
জলের বলিষ্ঠ জঙ্ঘা জুড়ে তেজোময়ী গঙ্গাদৃত
কেশের বেশের চুমকি মতান্তরে শক্তিশালী লেখা।
তুমিও উবুড়, পা নাচাচ্ছ না যে কেন চন্দ্রাবলী
রাতে? আমি তো রীতিমতন বিস্মিত তোমার এই
নছকলি দেখে। মন্ত্র পড়ে হবে যদি মন বলে ওঠে চলি
হাত ধরে নেমে যাই ঘাটে? আর রাত্রে ধুয়ে নেই
মোহ শূন্য পাত্রে থাকি হোমাগ্নির পাশাপাশি জেগে।
রক্তাক্ত প্রতিমা যার কপালে বলির টিপে এতো!
কত নদী নিশিথীনি প্রাচুর্যের গায়ে নারী লেগে
রয়েছে ঘাটের পরে ঘাটে। নৌকোদের মুখে দেঁতো
হাসি লেগে নেই। পচা বন্ধুর শামুকে পা কেটেছে,
রক্তও ঝরেছে বুকে, কাদায় পদ্মের কুঁড়ি ফুটেছে প্রচুর।
জলতরঙ্গের ধ্বনি, মধ্যরাতে গঙ্গার তীর সব দেখেছে,
ব্যর্থ অন্ত্যমিল মুছে দিয়ে আজ স্বরবর্ণে ছুটেছে নূপুর।



খুব ভালো লাগল।
উত্তরমুছুনখুব সুন্দর লিখেছেন। অনবদ্য 'বিন্দু' কবিতাটি।
উত্তরমুছুনদেবদাস রজক ও তনুজা চক্রবর্তীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই।
উত্তরমুছুন