মঙ্গলবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নিমাই জানা



নিমাই জানা / দুটি কবিতা

নীল পাখিদের শীঘ্রপতন ও ঋতম দৈর্ঘ্যের ঘোড়া








নীল পাখিরা মহাজাগতিক হয়ে যাওয়ার পর ধ্রুপদ ক্যাটায়ন সরীসৃপেরা অবৈধ অন্ধকারে এসে সন্ন্যাস রঙের রসায়ন দানাগুলো আমাদের মতো যৌগিক হয়ে যাওয়ার পর রামভদ্রপুরের দিকে অবিনশ্বর রেখাচিত্র এঁকে দিচ্ছে নিঝুম বিষুব রেখা দিয়ে


মধ্যরাতের শীঘ্রপতন পেন্ডুলাম বেজে উঠলেই আমি হিমাচল কোন অভয়ারণ্যে দাঁড়িয়ে স্ত্রীলিঙ্গ অসুখ গুলোকে বারবার ঋতম দৈর্ঘ্যের গলা চিরে ঢেলে দেই পাকস্থলীর উর্বর বৃন্ত জোড়ায় , শ্বেতাঙ্গ পাখিরা একটি মৃত প্রতিবিম্বের জন্য কোন পিচ্ছিল ভ্যাসোগ্ৰেন ১০ খাচ্ছে


রাত শুধু রাতের মতোই আমাকে মাংসাশী খাদক বানিয়ে যায় বাবার মধ্যাহ্নভোজনের সুষুপ্তিময় থালার চারপাশে , বৃশ্চিক লগ্নের পুরুষটি শুধু রাতের গ্রাফাইট খাচ্ছে নাইট্রিক ঠোঁট মিশিয়ে

নপুংসক রোদ আমাকে নিয়ে বারবার ১৩ দিন জুপিটার গ্রহন কালে বসে ছিল আমাকে একাদশ সমুদ্র ভক্ষণের নেশাখোর বানাবে বলে , আমি শুধু মৃত আসবাবপত্রের কাছে √৫৪ টি দাঁত , ১১জন স্নায়ুতন্ত্রের আচার্য , ও মধ্যম বিষ্ণুপুরের অসুখ নিয়ে ঈশ্বরীদের সাথে কৃষ্ণনগর থেকে ফিরে আসি রাতের দ্বিতীয় প্রহরে

আমি কোশল নগরীর কোন নারীর উদর দেশে সমকৌণিক দাঁড়িয়ে নাগেশ্বরীর হলুদ অযুত সংক্রমণ ফলগুলোকে চিবিয়ে চিবিয়ে খাব সাপেদা ফলের মতো , আমাদের সারা শরীর জুড়ে কালো জ্বরের সংক্রমণ


আমি শুধু নিজের মৃত্যুর স্থানাঙ্ক গুলো শূন্য মৃত্যু নাভির কাছে লুকিয়ে রেখেছি ষড়ভুজ শরীরের আত্মদাহের জন্য ,  মা শুধু বর্ষাকালের মৃত্যু পছন্দ করত বলে আমরা কেঁচোর মতো শ্বেতাঙ্গ চিতা কাঠ পোড়াচ্ছি ৭৫০ অ্যালকোহলিক হয়ে

সুনন্দন তলপেট ফেটে বেরিয়ে আসছে শকদেব ঋষিপুত্র হয়ে









কাঁচ ফলের কপাটিকা ও নীল ইস্ট্রোজেনের মাধবচক

প্রহ্লাদ বৈরাগীর মতো আমিও কোনো নিপুন জলাশয়ে দাঁড়িয়ে তীরন্দাজ অসুখের সাথে অদৃশ্য শক্তিতন্ত্র নিয়ে আত্মহত্যার আবহবিকার সম্পাদ্য গুলিকে ক্লোরোপ্লাস্ট ব্রহ্মতন্ত্রে লুকিয়ে রাখি


শ্বেতাঙ্গ মাধবচকের মতো নীল ধর্মক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে ক্রমশ পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছি ইস্ট্রোজেনের মতো কোন অবৈধ কাঁচ ফল সান্দ্রতায়

রক্তাক্ত ক্রোমোজোমের ডান কপাটিকায় ভরে রাখার পর আরো একবার বিষাক্ত নদীতে নেমে নীল স্নায়ুচিত্রের লাল পোকারা উঠে যাচ্ছে গভীর কোন মৈথুনময় চাঁদ শহরের দিকে , কোন পটাশিয়াম পাইরোগ্যালেটের মতো মণিকর্ণিকা নেই,  শুধু আগুন , পতঙ্গ , শ্মশান আর শুধু চিতা কাঠের উলঙ্গ পাঁজর ভেদ করে আসছে তেত্রিশটা হেমাঙ্গ ফুলের চূর্ণ খাবে বলে , মিথুনের কোন সন্ধীপদ নেই


২৬৪ দৈর্ঘ্যের মধ্যেকার নীল সালোশিয়া ফুলের তৃতীয় গর্ভস্থ জননতন্ত্রের কাছে আমরা পরাজিত সৈনিকের পঞ্চম জনুক্রম হয়ে বাবার উচ্চ রক্তচাপের ঘোড়াদের কাছে নিঝুম সাংখ্যমান তত্ত্ব নিয়ে বসে আছি , মৃত্যুর কোন ভাগফল নেই সিলেন্টেরন প্রদাহ কালে


আমি শুধু ট্রাই সাইট্রেটের মতো গর্ভবতী রাতে নৌকার ধাতুদুর্বল্য নদী গুলোকে বারবার আত্মহত্যা করার হলুদ প্ররোচনা দিয়ে যাই ,  রাতের কোন এক মৃৎশিল্পী আমার মুখাবয়ব দেখে ফেললেই আমি তাকে নীল অশ্বগন্ধা ফুল দিয়েছি লাল পারদ জলে ডুবিয়ে

জল খাও আর্দ্রতাহীন নারীদের খন্ড খন্ড বৃত্তাকার কাগজ ফুলের অ্যামালগামে  , আমি ও শিশ্নখন্ডগুলো খেয়ে ফেলি অর্ধ চন্দ্রাকার নারীর দেহ , একটি উন্মত্ত পাঁপড়ির ডান স্তনের কাছে বৃশ্চিক লগ্নের উলঙ্গ জ্যোৎস্না খণ্ড গুলো রেখে আসি শ্রীহীন কোন ঈশ্বরীর পায়ের কাছে , তিনি মীরাবাঈ আগুনের দোতারা বাজাচ্ছেন


ঋণাত্মক অযোগবাহের মতো প্রতিটি ফুলের পাঁপড়ির কাছে এক এক নিশাচর রোহিণী পুরুষেরা সুখ মিলে রাখে নোঙরহীন মেঘা ক্ষেত্রফলে , আমি ৬৯টি  ভগাঙ্কুর সন্ধ্যাকালীন বিষপাথরের চারা গাছ লাগিয়েছি , আমি কৃষ্ণাঙ্গ হতে চাইছি অযুত অন্ধকারে নেমে

আমার মৃত জীবাত্মাকে নিয়ে ১১ জন পিরাসিটাম খাচ্ছে বৃষ্টি ফোঁটার মতো


*********************************************************************************************



নিমাই জানা

 এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :  ছায়ার মূলরোম ও  নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো

1 টি মন্তব্য: