রুমা ঢ্যাং অধিকারী / দুটি কবিতা
শম বৃক্ষ
ট্রিগারের তাক মানে সোজাসুজি দিকের নিরুদ্দিষ্ট পরিমাপ
স্থায়িত্বকালের শিরোনাম পড়তে পড়তে
সুদূরিকা হয়ে ওঠে বিষাদিনী
একটা নলকূপকে ঘিরে আঁকা চৌমাথার প্রচ্ছদ দেখে
হট্টগোলের সানাই থেকে সে ফেরে। বসে শম বৃক্ষরাজির নিচে
সকালের চা-গুঁড়ো এবং রোদের বিধান, এযাবতকাল
বর্ষাতির নিচে তাকে দানা ছড়ায়। শিকারের মতো। ধুলোর পরিভাষায়
বোনা টাঙ্গাইল শাড়িটি যদিও আজ ভাঁজ করে রাখা
নলের আগুনে কিন্তু ব্রহ্মাণ্ডের মুখ
হরিণী মেঘের কাছে আসে। তাকে শোনায়
বাদলপোকার গল্পগুচ্ছ
ক্লাস্টার্ড রুম
এপর্যন্ত মার্জারিন প্রেমের সাফল্যময় ইতিহাস দেখে
থেমে গেছি বিশ্বাসের শূন্যতায়
খাড়াপাহাড়টার নিচে গল্পগুলোকে আজও সত্যি মনে হয়
তার মাথার দুব্বোটি হাতে নিলে কী
'তুমি' চ্যাপ্টারে তা ঝরে পড়বে?
কী বলি!
---খানিকটা ট্রাফিকের বাঁও
কুয়োর ঘাটটিও তবে গোল আর দানপাত্রের কাছে বিধেয় গোলাম
এ পর্যন্ত... কোথায় থামব, কোথায় সিমেট্রির ব্যানার
তাকিয়ে আছি ফ্রোজেন কাস্টার্ডে...কাজুগুলো উন্মুখ
একটা ভাবনা, একটা মন, অনেকগুলো ক্যাওস
প্রজাপতির পিঠে রঙিন আয়তন।
তাহলে, জীবনটা মহৎ আশয় হলে
মরুভূমি হবে স্বরভঙ্গিমা
আ ক্লাস্টারড রুম অফ দ্য ফেস!
***********************************************************************************************************
ব্ল্যাকহোলের আধার থেকে জন্ম নেওয়া নীলচে কথাগুলো যখন মনের ঘড়া ভর্তি করে দেয়--- পোড়া এই সভ্যতা থেকে, জলন্ত চিতা থেকে উঠে আসে কিছু ভাবনা, কিছু অন্তরালের কথা। অব্যক্ত সেই ভাবপ্রকৃতি গুমরায় আর তাকে ঘিরেই যেসব শব্দের ঘূর্ণিপাক - এক নীরব যন্ত্রণাবোধ সেসবই নির্জন সময়ের ভাবজগতে ডুব দিয়ে তুলে এনে এই উলুবনে ছড়ানো যেন মুক্তো-- শব্দের মায়াজাল- কবিতার এই তো একমাত্র ধর্ম। কবিতার দেয়ালে লেগে থাকা উত্তমপুরুষ থেকে সবপুরুষ অতিক্রম করার এক খেয়াল। হঠাৎ করে পাওয়া এক জগৎ -- কবিতাজগৎ--মনের তাগিদে লেখা মনের টানে। কবিতা এক অসুখের নাম -- আমি সেই অসুখেই ভুক্তভুগী এক রুগী। কবিতার বই--- বাইশ স্কোয়্যার ফুট (২০১৮)





তোমার কবিতা সবকটাই দারুন
উত্তরমুছুনখুব ভালো লাগলো । অসাধারণ সব কবিতা
উত্তরমুছুন