মঙ্গলবার, ৫ অক্টোবর, ২০২১

সুদেষ্ণা ব্যানার্জী



' দেহ জুড়ে জেঁকে বসে শিঞ্জিনী,ধুম্রজাল।'এমন উচ্চারণে কবি সুদেষ্ণা ব্যানার্জী প্রথমেই আমাদের মনকে স্পর্শ করেন। তারপর নিপুণ দক্ষতায় আঁকেন ' রমণী ' চরিত্র ' ছেড়ে গেছে প্রতিটা স্টেশন... বালিকা বয়স, কৈশোর,/ যৌবনে দাঁড়িয়ে খুঁজে পায় সন্তান, বান্ধব, সখা, / কিন্তু মগ্ন প্রণয়ী!' পড়ছি -----

 


কবি সুদেষ্ণা ব্যানার্জী-এর দুটি কবিতা 


 রমণী


দেহ জুড়ে জেঁকে বসে শিঞ্জিনী,ধুম্রজাল।

ভ্রূমধ্যে লাল টিপের দরজা ভেদ করে বেরিয়ে আসে চরিত্র;

রমণী দারুণ দারুণ বলে কিনে নেয় সেকেন্ড হ্যান্ড জিনিস সস্তা 

দরে।


ছেড়ে গেছে প্রতিটা স্টেশন...

বালিকা বয়স, কৈশোর;

যৌবনে দাঁড়িয়ে খুঁজে পায় সন্তান, বান্ধব, সখা;

কিন্তু মগ্ন প্রণয়ী!

একশো চুম্বন বলে ওঠে ক্ষমার ভীষণ শাস্তি তাকে দিও না 

কখনো।

রমণীর ক্লাউনপনায় বারোঘন্টার পবিত্র বিনিময়ে পুরুষের 

মালিন্য ধরা পড়ে না,

তোষামোদী যৌনক্রিয়া এখানে এপ্লায়েড্ সায়েন্স।

বিকল্প পুরুষ যেন ছেঁকা;বিগড়ে যাওয়ার বিচ্ছিরি আওয়াজ;

একটু না বিগড়ালে তো আর মনের মতো হওয়া যায় না।

হঠাৎ ভিড়ের মধ্যে থেকে মশাল জ্বেলে নিলামওয়ালা হেঁকে 

ওঠে 'হাত ফেরতা' মাল।



চাঁদেই বামন


এ যাবৎ বিজ্ঞান ব্যতীত আর কোনো নতুন ঘটনা ঘটেনি।

দুঃখ কোনো নতুন ঘটনা নয়; দুঃখের প্রকাশ নতুন হলেও হতে 

পারে।

বিসর্জনের পর আসলে বোঝা যায় কোনোদিন পুজো হয়েছিল।

তার আগে যত দহরম মহরমে চাপা থাকে চরিতার্থতা।

মানুষের ব্যক্তিগত মন্দিরে চলতে থাকে ভুল উচ্চারণ।

সহায়ক হয়ে ওঠে পারস্পরিক ব্যভিচার।

শুদ্ধ হবার মতো আন্তরিক ঘোষণা চোখ রাখে মুখোশে সত্যের 

ভ্রমে;

গ্রন্থিতে গ্রন্থিতে ফুল, রক্তে সমোচ্চারিত হয় নিজেকে নিজে 

হত্যা!

বিশ্বাস,প্রণয়, সত্য!

এই সব বাজারে বেচে আসি।

প্রয়োগে ভালোবাসা শব্দ উঠে আসে;

অথচ চাঁদ শব্দের ভিতরেই বামন ঢুকে;

খুঁজতে ভুল করি।

আয়না ছাড়া আর কোনো দৃশ্য ভেসে ওঠে না।

প্রমাদের গায়ে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে থাকে ছোঁয়াছুঁয়ি; সুখের 

নামান্তর।

সুখের বিপরীতে যাচাই হয় সত্যতার ফানুস।




1 টি মন্তব্য: