তরুণ প্রজন্মের শক্তিশালী কবি সতীন্দ্র অধিকারী। তাঁর চেতনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ' ভারতবর্ষ '। তাঁর স্বদেশ। কিন্তু এ কোন ভারতবর্ষ ?' মাথা গোঁজার ঘর বলতে যা বোঝায় ' তা নেই নকু মোড়লের মতো মানুষদের 'হাজার উত্ত্যক্ত হয়েও যারা প্রতিবাদের রা কাড়ার সাহসটুকু পান না। এরই নাম ভারতবর্ষ ! বিস্মিত হন কবি।পড়ছি -----
কবি সতীন্দ্র অধিকারী-এর দুটি কবিতা
অন্য ভাত অন্য ভারত
১
কী হবে হেমন্তের বাতাসে এতখানি কাছাকাছি এসে
পড়ে থাকা জল
পৃথিবীর চাকা রাস্তা
বরাবর দাগ রাখে
অভিযোগ জানাবো না কোনো! বিন্দু বিন্দু
স্রেফ যেভাবে ভুলে যাওয়া যায়
তুমি তো জানো মাথা গোঁজার ঘর বলতে যা বোঝায়
তা- ছিল না কখনও
টিউশনির টাকায় পা ভারী হয়ে ওঠে ক্রমশ
আজও গাঁয়ে বাঁদর এলে
আমাদের মটকা ভাঙে খুব
দেখি বাবার কিনে দেওয়া সেই পিত্তি কালারের
সাইকেল
একশো মিটার দূরে তোমাদের ভারতবর্ষের রোড!
২
তোমাদের ভারতবর্ষে তখনও ওয়াটার পার্ক
বসেনি। বসেনি গলুইয়ের পাশে হাড়হিম করা
মার্কারি লাইট!
দু, একটা ফ্ল্যাট
ভোর থাকতে থাকতে
বাবা নকু মড়লের সাথে বেরিয়ে পড়েছেন।
কাঁধের উপর টিন ভর্তি খেজুর গুড়
আর এক হাতে পাল্লা...
সুন্দর ফর্সা রমণীরা জানালা থেকে ফেলে দিত
কাগজে মোড়া প্যাকেট
আর তার দাগ লেগে থাকতো বাবার জামায়!
কখনও প্রতিবাদ করেননি বাবা
না নকু মড়ল...
এ ভারতবর্ষ তোমাদের!
বাবা বাড়ি ফিরলে দেখতুম
জামার গায়ে ফুটে ওঠা একটি নাম... ভারতবর্ষ!


এই ভারতবর্ষেই বড় হয়েছি আমরা। এখন চতুর্দিকে ইন্ডিয়ার দাপট।
উত্তরমুছুনতোমার কবিতা ভাবনার সাথে আমার ভাবনা মিলে যায়। তাই তোমার কবিতা এত পছন্দ করি। ভাল থেকো সতীন্দ্র। আরও এগিয়ে চলো। ভালবাসা নিও।
উত্তরমুছুন