সহজ ব্যঞ্জিত উচ্চারণে কবি সুজয় যশ গভীর তাৎপর্যমন্ডিত অর্থের কাছে পৌঁছে দেন পাঠককে। মুগ্ধতা শিখর ছোঁয় যখন তিনি বলেন ' হরিণ দৌড়ে নামছে মায়ের চোখের কোলে ' কিংবা ' আমরা রঙ্গন হতে পারিনি ' বলার মধ্যে দিয়ে কবি ইঙ্গিত করতে চান, আমরা অকপট হতে পারিনা রঙ্গনের মতো ' তাই / বৃষ্টি পড়লে ছাতা খুঁজি শুধু '...পড়ছি ----
কবি সুজয় যশ-এর দুটি কবিতা
ছবি
ছেলেটা একদিন হরিণ আঁকলো খাতায়
খাতার চারপাশে অনেক ঘাস জড়ো করে
ডাকল সেই হরিণকে । সে ভেবেছিল
তার আঁকা হরিণও লাফাবে । লাফালো না ।
অনেক বার ডেকেও চোখ খোলে নি তার হরিণ ।
সারাদিন কেঁদে গেলো ছেলেটা । মাকে বলল
" আমার হরিণ কেন লাফায় না মা ? "
মা নিরুত্তর ।
ছেলেটা মায়ের গালে হাত বোলায়
দেখে হরিণ দৌড়ে নামছে মায়ের চোখের কোলে ।
ছেলেটা এখন রোজ আঁকে । মনে মনে ।
রঙ্গন- ২
রঙ্গন যেদিন বাজপাখির গল্প শুনেছিল
মাটি থেকে শূন্যে লাফিয়ে বারবার
মেঘ পেরোতে চেয়েছিল । চোখ মুখ লাল করে
আমায় বলেছিল একদিন সে বাজের মতো
নিজেকে ভেঙে, নিজেকে ছিঁড়ে আরও শক্ত হবে ।
তারপর ওপর থেকে ছোঁ মেরে তুলে নেবে
দুষ্টু লোকদের । একটা একটা করে ।
আমরা রঙ্গন হতে পারিনি, তাই
বৃষ্টি পড়লে ছাতা খুঁজি শুধু ।


দারুণ! বিশেষ করে দ্বিতীয়টি... সত্যি দারুণ!
উত্তরমুছুনসুজয় যশের কবিতায় ভেতর থেকে উঠে আসছে এমন এক চড়ুই পাখি ঠুকরে ঠুকরে প্রলেপায়িত দুঃখ গুলো বার করে আনে।এই কবিতা দূটিতেও তাই।দারুন।
উত্তরমুছুনসুজয়ের এত ভালো কবিতা আগে পড়িনি আমি! মুগ্ধ করে এমন লেখা। কবিতা দুটি বোধহয় পাঠককে তাঁর পুজোর উপহার
উত্তরমুছুন