বাংলা কবিতায় একটি পরিচিত নাম। তাঁর কাব্যচর্চা বহুমাত্রিক। বাংলা কবিতায় তাঁর নিজস্ব শৈলী পাঠককে তৃপ্ত করে। বিদেশী কবিতার অনুবাদও করেছেন তিনি। কবিতা কবির অন্ত:সমুদ্রের কোনও এক তন্ময় মুহূর্তের ফসল,যার আস্বাদ পাই ' দিগন্তের শেষ রোদ লিখে রাখে আবহসংবাদ '...এমনতর নিবিড় উচ্চারণে। পড়ি সম্পূর্ণ কবিতাটি -----
আবহসংবাদ
সৈয়দ কওসর জামাল
সাদামাটা আমাদের প্রেমের ভিতরে এত কান্না!
কান্নারা কখনও একা একা আসেই না
অভিমান শব্দটি অস্ফুট কুঁড়ি কখনও ফোটে না
থেকেছে আমার সঙ্গে সখি যাকে বিরহ ডেকেছি
আমারও হাজার ক্রোধ মাথার ভিতরে
তার কথা চেয়ার টেবিল বিস্তারিত লিখে রাখে
টের পায় দরোজা কপাট
সঙ্গত করেছে মেঘের গর্জন আর আকাশের অশ্রুপাত
চুম্বকের মতো আমি ধরে রাখি নড়ে ওঠা ঘর
ঘরের বাইরে উঁকি মারে অজস্র উৎসুক চোখ
বিছানা ও আলমারি থেকে বেরিয়ে এসেছে ঘুণ
তারা ঝরে পড়ে পুরোনো স্বপ্নের মধ্যে
স্বপ্ন লজ্জা পায় আয়নাকে
আয়নার চোখে জল কিংবা ক্রোধ রহস্যজনক
দিগন্তের গায়ে শেষ রোদ লিখে রাখে আবহসংবাদ
ভাঙাচোরা ঠোঁটে বিড়বিড় করে বলি ‘ক্ষমা করো’।
সৈয়দ কওসর জামাল-এর সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বই



চমৎকার দাদা
উত্তরমুছুনআহা, অসামান্য বোধ ও অনুভবের শব্দমালা
উত্তরমুছুন