কবি নিতাই চন্দ্র মাঝি-র দুটি কবিতা
ছায়াচ্ছন্ন
একদা শহরে গিয়ে কেটেছিল রাত্রি,
শহরের রাজপথে ওপারের ফ্ল্যাটে,
প্রতিরাতে ছায়াছবি নীরবে যে হাঁটে?
যেন কোনো বনপথে মূক যত যাত্রী।
হাঁটার বিরাম নাই নাই অলসতা,
উপরে নিয়ন আলো ফেলে তার ছটা,
ছায়াগুলো ছোট বড়ো কোনোটা বা মোটা,
অন্ধকারে মিলে মিশে পায় একাত্মতা।
হঠাৎ বিজলী গেলে ছায়ার অভাব,
আঁধারে আঁধারে করে প্রেম প্রীতি ভাব।
আলো আসে যখনই ছায়ারা দাঁড়ায়,
অগোচরে আসে ছায়া অন্ধকার থেকে,
ছায়াকে দেখিয়া ছায়া বড়ো ভয় পায়;
তীর্যক আলোয় এসে দেহ বেঁকে যায়।
কবিতার বাতায়ন
কোনো দিন খোলা থাকে কবিতার বাতায়ন,
কবিতার সারি আসে যেন একগুচ্ছ আয়ন।
কভু ছোটে অ্যানায়নে কভু ছোটে ক্যাটায়ন,
কভু হয়ে যাই শেলী কভু বা বায়রন।
কোনো দিন কবিতা গুলো ধর্মঘট করে,
কোনো দিন জোর করে পায়ে এসে ধরে।
মজা লাগে সেই দিন আধা লিখে রাখি,
মাথা মুন্ডু যত খুঁড়ি মনে পড়েনা বাকি।
গলা দিয়ে গলদঘর্ম পায়ে জমে ঘাম,
মন তখন বুঝে পায় কবিতা লেখার দাম।
সারাদিন কখনো বা ঠাঁই বসে থাকি,
কিছুতে ঢোকে না মাথায় কাঁদি কান্না নাকি।
অনেকেই বলে থাকেন কবিতা লেখা সোজা,
আমি বড়ো ভার বুঝি, বুঝি বড়ো বোঝা।
কবিতার চরণ পদ্মে তাই দিই নাকে খৎ,
এরপরও না পারিলে তোমার পায়ে দণ্ডবৎ।
***********************************************************************
গৃহশিক্ষক হিসাবে কাজ করে চলেছি, লেখা লেখি,ও সুকুমার বিদ্যায় দীর্ঘ ৩৫বছর কাটছে, নিজস্ব ছাপা বই নেই। কিছু কিছু বের হয়েছে,বের হবে কিছু। অর্থনৈতিক পরিস্থিতির শিকার আমি,এর বেশি পরিচয় নেই। আমার ঠিকানাগ্রাম-পখুরিয়া,পো-হুড়া, জেলা -পুরুলিয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন