কবি অরিত্র চ্যাটার্জি-র দুটি কবিতা
আমাদের আশ্চর্য ভাষা
আমাদের আশ্চর্য ভাষা পড়ে আছে ওই
অসমতল পথে, ইটের জ্যামিতি বেয়ে যেখানে সারাদিন
কারা যেন ওতপ্রোত সাইকেলের ওঠাপড়া দেখে
গুণ্ঠনের আড়ালে গোপন নকশাকাটা তাদের মুখ,
চাপা হাসির আওয়াজ, আফ্রিকান নদীর মত উপচে ওঠে
মেজ রাস্তার পাশে, বড় হোর্ডিং-এ পৌরমাতা সুলতানা বানু
ঝিরঝিরে দূরদর্শন, রোলের দোকান আদতে অতীতচারী
অসংলগ্ন জটলা, শুধুই হাইওয়ের দিকনির্দেশ করে
আবছা পুছতাছ করে তাই সে এগিয়ে যায়, সিঁড়ি বেয়ে
উঠতে না উঠতেই আসন্ন বিমানবন্দরের স্মৃতি আশানুরুপ
তাকে বিষণ্ণ করে তোলে তিনতলার ব্যালকনি থেকে
সে এখন অতি খর্বকায় দেবতার মত ক্রমশ ম্রিয়মাণ
হয়ে নিরাপদ দূরত্ব হতে দেখে সরলবর্গীয় প্রাণীদের ভিড়
দুই উরুর ফাঁকে তাদের অনবরত আসা যাওয়ার ভেতর
যৌনপিপাসা চেপে সে তার আশ্চর্য ভাষাটুকু খোঁজে …
মুহূর্ত পেরিয়ে
মুহূর্ত পেরিয়ে তোমাকে ছুঁতে যাব ভাবি
আমি তো চাই-ই, তবু ভয় করে
পাছে ভেঙ্গে যাও
আলেয়ার মতন তোমার নিবিষ্ট মুখরেখা
দেখি ফুটে আছে জানলায়
হলুদ কফিশপে তুমি কত কত
প্রাচীন রমণী হয়ে ধরা দাও
শতাব্দী পেরিয়ে সেই দৃষ্টি চলে যায়
অনাবিল মুহূর্তের ভিড়ে যখন আমি দিশেহারা
তুমি সুদূরিকা, এসব পার কর অনায়াসে
দেশ কাল ছাড়িয়ে তোমার সাবলীল চলে যাওয়া,
অতি দূর হতে ওই ক্ষণিকের চোখাচোখি
আমি ভালবেসে ফেলি …
**********************************************************************

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন