কবি তীর্থঙ্কর সুমিত-এর দুটি কবিতা
উড়ে গেলে
পাখি উড়ে চলে গেলে...
বারান্দায় খুঁটে খাওয়া দুপুরে
অপেক্ষা করে নিঃশব্দের জলবায়ু
রোদহীন চৌকাঠ জন্ম থেকেই
ব্যর্থতার ইতিহাস লেখে বইয়ের পাতায়
তাই ভাটার সাথে আমার বরাবরের হৃদ্যতা
তুমি থেকে আপনিতে পৌঁছাতে
ধুলো ভরা উঠোন চেয়ে থাকে
এক আশ্চর্য পৃথিবীর দিকে
কৃষ্ণমৃত্তিকা সমভূমির মৌসুমী বায়ু
বিষন্নতার বৃষ্টি ঝরায়
ভালোবাসার অভ্যাসে।
মাস্তুলের অধিকার
নিজের মতো করে যেমন খুশি
বাড়িয়ে নাও নিজেকে
শেষবেলার সূর্যে একাকী
স্নান সাড়বো অমৃত লোকের সন্ধানে
বহু প্রাচীন বট গাছ আর বন্দরহীন জাহাজ
অপেক্ষা করবে তোমার জন্য
আমার ছুটির ঘন্টায় লেখা থাকবে
***********************************************************
১৯৮৯ সালে ১৭ ই মে হুগলী জেলার মানকুন্ডু ব্রাহ্মণ পাড়ায় জন্ম গ্রহণ করেন।ছোটবেলা থেকে লেখালিখির সাথে যুক্ত ।মূলত কবিতা লেখেন।প্রথম কবিতা প্রকাশ পায় স্কুল ম্যাগাজিনে স্বাধীনতা সংক্রান্ত লেখা।বহু পত্রপত্রিকায় লেখা প্রকাশিত হয়েছে।প্রথম কাব্যগ্রন্থ পুতুলের সংজ্ঞা, দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ কথাকলি,তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ অক্ষরে অক্ষরে রাতের গল্প, চতুর্থ কাব্য গ্রন্থ বিন্দু,পঞ্চম কাব্যগ্রন্থ অভিসারে তুমি, ষষ্ট কাব্যগ্রন্থ 28 শে লিমেরিক। অক্ষর মালা ও মুহুয়া কথা প্রকাশের পথে।নিজ সম্পাদিত পত্রিকার নাম "আহোরী" নতুনদের নিয়ে এগিয়ে চলাই তার পত্রিকার মূলমন্ত্র।হাইকু প্রভাকর,কাব্য সুধাকর ,পরমাণু কাব্য সারথি, শরৎ সম্মাননা, শরৎ স্মৃতি পুরস্কার, বাঘাযতীন সম্মাননা, পারিজাত সাহিত্য গৌরব, কাব্যকনিকা রত্ন,পারিজাত সাহিত্য ভূষণ, কাব্য ভাস্কর, স্বাধীন কলম সেনানী ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন