কবি সব্যসাচী মজুমদার-এর দুটি কবিতা
বাঁওড়ের জল
অ মোর জ্যামিতি সমাধান শেষে একা ঘুরতে
যাওয়া, তোমাকেই শুনিয়ে গিয়েছি শুধু
আর কাউকেই আমার কিছুই বলার নেই
বেতালের বাচ্চা বাচ্চা জানে সব রজঃরক্ত
লোভ হয় বড়ো বালকের ক্ষিদের মতন
মিশে যাব তার মদগ্রহে আর জগৎকারু
আসক্ত গর্ভ রিরংসায় আক্ষেপে জোনাকিতে
জোনাকিতে যেন বাঘ মনে করালো বাবার
পোড়া দাপনার অন্তিম দৃশ্য খানি।যার মধ্যে
মিলিয়ে নিয়েছিলাম আমার সংক্রমণের
সবকিছু। এমনকি সন্তানও। তুমি ভারতীয়
স্বভাবের স্বাদ হয়ে থেকে গেছ সে আলোচনায়
ইছামতি শুঁকি শুঁকে বুঝে নিই বাতাসের
নুন কতটা উদ্বাস্তু পেখম কতটা জন্তু!
মাঝে মাঝে টের পাই তুমি মুছে যাচ্ছো ক্রমে
জনপদে দমবন্ধ পেখম কাটা পাখির
ডাক শুনি ভাবি গাছ বলে কাকে জড়িয়েছি
কার জন্য এই অতি বনবেতসের সাজ!
জাতীয় কবির মতো আশ্চর্য দিগন্ত রেখাব
অথবা ঝাপসা বন্ধুদের বাগেশ্রী আলাপ
ছড়িয়ে যাচ্ছে আমার টগরের তলা জুড়ে
ও আমার শবযান, পুকুরের মাছ শোনো
সন্তানের গান শোনো,গেয়েছে বালক ষট্
এই গৌড় গায় আমাদের খোকা।বনবাসী,
তুলসীর বনে তুমি কালো জল হারিও না
শোনো নদীটির পাশে বসে থাকা মানুষের প্রেম
এভাবে অনেকদূর দেখি তুমি শ্রীখোলের
এই দ্রাব্য শয়তানে তুমি একাকি মিশো না
টক ঝাল লালা মানুষের পিণ্ড দুমড়েমুচড়ে
একটা যোনি হয়ে উঠলে তুমি তার সামনে
দুটো মুদ্রা রাখছো আর তোমার পেছনে
গুঞ্জে গুঞ্জে চলে যায় তরুণের ছবি
এইসব মৃগয়াজনক রাতে শিখি এই জন্মে
ধনধান্য পুষ্প জীবনের যতটুকু গেল
তার কিছুটা আঁচড় কামড়ের মতো একা
বাকিটা সন্তানের গায়ে লাগে নদী...
পাড়ে পাড়ে পাগল জনতা...
কিমিতি
এই তো তারা হয় এই তো বহুদূর
অন্ধকারে ঢাকা
গাছের সন্ধানে ঘুরছে শেয়ালেরা...
আমার মফসসলে সঞ্জননী হলো
অনেক টিয়াপাখি
শিশুর ডগমাটি এখানে চনমনে
স্তনের কল্পনা করছে বলে ম্রিয়
চন্দ্রকেশী রাগে সাপেরা কামড়ায়
সাপেরা সুফিয়ানা সাপেরা উদ্ভিদ
সাপেরা বালিকার কুকুর ফুটো করে
ঢুকছে গিয়ে। কোর এড়িয়া তোড়ফোড়
আজকে রাতে ফের
অন্ধ হরিণের
গন্ধে নেশা হবে
আজকে রাতে ফের
ও শ্যাম কেদারের মুক্তিকামী চিল,
মফসসল
হবে
সে
প্রতিপক্ষের আক্রমণ গুলি?
********************************************************



কিছু লেখা থেকে যায় মনে । আপনার লেখা পড়লেই একটা আলাদা পাওনা ।
উত্তরমুছুন