বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

ইন্দ্রজিৎ নন্দী

 


কবি ইন্দ্রজিৎ নন্দী-র দুটি কবিতা 


অগস্ত্যযাত্রা রিমেক



রম্ভিনী রাতের গল্প মনে পড়ে মেঘ আর মেদের প্রণামে।

তোমার ও আমার ফোনকলের মাঝে নীল মোনোক্রোমে 

অনতিদূরে অবশিষ্টতমভাবে বহমান চিত্রাঙ্গদা নদী,

নদীর নিভৃতি আমাদের ব্যস্ত ফোনকল অবধি আসে না,

আর, আসে না বলেই আলুথালু ঘাসে সবেগে কুলুকুলু

বয়ে যাওয়া শব্দের ঘন নিঃশ্বাসে  কিঙ্কিনি মৃত্যু ছুঁয়ে 

পরাগমদের শব্দে  ওপার থেকে বলে -    " হ্যালো "

আমাদের রাতবাহী গল্পগুলো একসময় জিঘাংসা হয়ে এলো।

এবং কাতরতা এসে কর্ণ-দরজায়  টোকা দিল কোনোক্রমে,

সন্তর্পণে "আত্মানং বিদ্ধি" বলে চলে গেল সুদূর দক্ষিণে,

যেভাবে অগস্ত্য যায় কোনো এক ঘন পর্বতীয় রাতে

কমন্ডলু কিংবা নৃমুন্ডলের মতো ত্রস্ত সেলফোন হাতে।

ষোড়শী রাতের গল্প শোনে মেরু হিংসাকারী বিন্ধ্যপাহাড়,

নিভন্ত হয়, পরন্তু শ্রদ্ধাপরবশ হয়ে মাখে সৌরতমসার বিন্দু জল।

ফোনের অপরপ্রান্তজনের নিঃশ্বাস টোকা মারে বিন্ধ্য-দরজায়

বহুদূর হেঁটে এলে একটা কি দুটো প্রয়োজনীয় কথা পাওয়া যায়

                                  - কথান্তে সৌরতমস আরো দক্ষিণাগত হয় !









হাওয়াসঙ্গিনী


শিরীষ পাতার ফাঁকে যাকে চিনি

                                          তার সমস্তটায় রোদ আসেনা।

আয়ত্ত সহন বলতে সহজ এক দারুচিনি

                    অথচ, সে পূর্বসুরীর গায়েও শ্যাওলা জমেনি


শ্যাওলা আসলে নীলাভ-সবুজ পরিযায়ী,

                           সম্পর্কের মতো আটকে আছে বল্কলে।

রোজ রোজ মেঘ বিকিকিনি না হলেও,

                                      প্রাত্যহিক  হাওয়া বিনিময় চলে।


হাওয়ার ওপর থাকেন এক বেদেনী

             আর পাঁচটা মেঘের মতো লজ্জাহীনা- বস্ত্রহীনা,

বুকের কাপড় সরিয়ে হটাৎ বৃষ্টি নামায় 

                স্তন ঝুঁকে যায়, ভিজতে থাকে চায়ের বাগান।


***************************************************************



ইন্দ্রজিৎ নন্দী 

 জন্ম ১৯৯৮ সালে হুগলির আরামবাগে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর। লেখার ভিতরে নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক প্রচেষ্টা।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন