পাঠকের চোখে স্বরবর্ণ * সাত * ১৪২৯
' স্বরবর্ণ * সাত ' সংখ্যাটি কেমন হল ? কী বলছেন সুধী পাঠকমন্ডলী ? এ বিষয়ে ব্লগে অনেকেই মতামত দিয়েছেন । আবার ব্লগে সড়গড় না হওয়ায়, অনেকে সম্পাদকের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে মতামত জানিয়েছেন। ফোনেও অনেকে অভিমত ব্যক্ত করেছেন। তাছাড়া, এ সংখ্যার কবি-লেখকেরা অনেকেই তাঁদের নিজস্ব ওয়ালে সংশ্লিষ্ট লেখাটি শেয়ার করেছেন। সেখানেও অনেকে মতামত দিয়েছেন। সুচিন্তিত মতামত দেওয়ার জন্য সকল পাঠককে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ।
পাঠকের মতামত শিরোধার্য করে আমরা ক্রমান্বয়ে সেগুলি প্রকাশ করব । আজ পাঠ প্রতিক্রিয়ার প্রথম পর্ব -----
চন্দন রায়ের কবিতা সম্পর্কে তন্ময় রায় লিখছেন 'মশারির কোণা গুঁজে স্বপ্ন এবং দর্শনের / ভাসমান পাণ্ডুলিপির কাছে জিজ্ঞেস করো / ভোর হতে আর কত বাকি---' বোধের এমন প্রগাঢ় প্রত্যয়ে স্নিগ্ধ হয় কবিতা পাঠের আনন্দ।
উমা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কবিতা পড়ে স্মৃতি শেখর মিত্র লিখছেন দুটি কবিতাই খুব সুন্দর। সংবেদনশীল মনের গভীর আর্তি ছুঁয়ে যায় মনের আনাচে কানাচে ।
শতদল মিত্রের গল্প পড়ে প্রবীর মজুমদার লিখেছেন ওহ!চমৎকার একটা গল্প ।
গৌরীশঙ্কর দে-এর কবিতা সম্পর্কে স্বপ্নদীপ রায় লিখেছেন আপনার ভাবনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলে কথনছন্দের লালিত্য!যে ছন্দে সহজেই সম্পৃক্ত হয় পাঠকমন।
পঙ্কজ মান্নার কবিতা সম্পর্ক কল্পোত্তম ( উত্তম মাহাত ) জানাচ্ছেন কবিতাগুলো পরিনত মনের চিহ্ন বহন করে। বেদনাকে আড়ালে রেখে তোয়াক্কা না করার একটা প্রবনতা ফুটে উঠেছে এই কবিতাগুলোতে।
অরিত্র চ্যাটার্জির কবিতা পড়ে বনানী ভট্টাচার্য লিখেছেন চিরন্তন সত্য। সহজ প্রকাশ। কবিতা ২।
জয়া মিত্র লিখেছেন নিমাই জানা-র কবিতা পড়ে শব্দ চয়নের নতুনত্ব কবিতা তার স্বতন্ত্রতা সৃষ্টি করে চলেছে।
প্রদীপ ঘোষ এর কবিতা সম্পর্কে জবা ভট্টাচার্য লিখছেন সবগুলোই খুব সুন্দর। ইমনকল্যাণ অসাধারণ লাগল।
সুজয় যশ স্বপ্নদীপ রায়ের কবিতা পড়ে জানাচ্ছেন আহা, ভীষণ সুন্দর করে লেখা প্রতিটি কবিতা । বড়ো যত্নে লালিত্যে বেড়ে উঠেছে এই ভাবনারা ।
শীলা দাশ কয়েকজন কবি ও লেখক সম্পর্কে নিবিড় পাঠ প্রতিক্রিয়ায় জানাচ্ছেন -----
দেবাশিস সাহার ধারাবাহিক উপন্যাস 'ধুলোর সিংহাসনের' এই পর্বে পুরী ভ্রমণের নিখুঁত বর্ণনা সাবলীল হয়ে উঠেছে। সমুদ্রের সাথে প্রথম দেখার আবেদন অনেকটাই কাব্যিক। টানটান লেখা তরতর করে এগিয়েছে। এভাবেই এগিয়ে চলুক। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকবো।
সম্রাট মুখোপাধ্যায়ের রচনা 'একটি দুপুরের প্রচ্ছদ' আশ্চর্য সুন্দর।
কবি তৈমুর খানের গুচ্ছ কবিতা অতি সুন্দর।আর দীর্ঘ কবিতা 'মানব বাগান'কে আশ্চর্য কবিতা বা অসাধারণ বললেও কম বলা হয়। কবিকে আন্তরিক অভিনন্দন।
দেবাংশু সরকারের ছোটো গল্প 'নীলা' দু:খী দোলাচল জীবনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত আশাবাদের রঙএঁকে দেয়। চমক আছে।
আগামী পর্বে
পাঠকের চোখে স্বরবর্ণ * সাত * ১৪২৯
স্বরবর্ণ * সাত ' সম্পর্কে পাঠকের মতামতের দ্বিতীয় পর্ব আজ প্রকাশ করা হল। স্বরবর্ণ *৮- এ লেখা পাঠানোর মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ মে । স্বরবর্ণ * ৮ প্রকাশ পাবে ১৫ জুন ২০২২ ।
শতদল মিত্র সামগ্রিকভাবে স্বরবর্ণ *৭ -এর মূল্যায়ন করেছেন এভাবে ----
প্রথমেই ভরসা জাগায় সম্পাদকীয়, সে অক্ষরে যুদ্ধের নামে অন্ধসভ্যতার নির্লজ্জ অহঙ্কার থেকে উত্তরণের আলোসন্ধান। তারপরেই উল্লেখ করি আমার প্রিয় বিভাগ অনুবাদ কবিতার। রূপায়ন ঘোষের অনুবাদে বিনোদ কুমার শুল্ক-র কবিতাগুচ্ছ জীবনের প্রতি গভীর মায়া জাগায়। গল্প বিভাগে কিন্নর রায়ের গল্পে অতিমারিকালে লকডাউন, সে কারণে নির্মম নিঃসঙ্গতা কীভাবে মানুষের মনে মুনিয়ারঙা মৃত্যুচেতনা ছায়া ফেলে, তারই নির্মোহ ভাষ্য। দেবাংশু সরকারের গল্পটি মিথের অনুসঙ্গে ঘর আর ঘাটের অনবদ্য টানাপোড়েন। পার্থপ্রতিম গোস্বামীর অণুগল্পে মেনে নেওয়া আর মনে নেওয়ার খেলায় প্রাকৃত ও মানব মাতৃসত্তা একীভূত। দেবাশীষ মুখোপাধ্যায়ের অণুগল্পটি মানুষের আপাত চাপা পড়া শাশ্বত মানবিক যাপন ফুটিয়ে তোলে। আবার গৌতম ভট্টাচার্যের অনুগল্পে মানুষের নিজের মানসতলারই সন্ধান যেন। কবিতা বিভাগটি প্রতিবারের মতই যথাযথ। সুন্দর সম্পাদিত একটি পত্রিকা উপহার দেওয়ার জন্য সম্পাদককে অভিনন্দন জানাই।
বিকাশ চন্দ-এর কবিতা পড়ে স্বপ্নদীপ রায় লিখছেন গভীর জীবনবোধ প্রশান্তি আনে মনে ,যার সঙ্গে কবির অন্তরাত্মার অনাদিযোগ খুঁজে পাই
অর্ণব মুখোপাধ্যায়ের কবিতা পড়ে উদয় ভানু চক্রবর্তী লিখছেন খুব সুন্দর দুটো লেখাই।
সুজয় যশ স্বপ্নদীপ রায়ের কবিতা পড়ে জানাচ্ছেন আহা, ভীষণ সুন্দর করে লেখা প্রতিটি কবিতা । বড়ো যত্নে লালিত্যে বেড়ে উঠেছে এই ভাবনারা ।
সুদীপ দাসের কবিতা পড়ে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখছেন ঘাসের উপর খালি পায়ে হাঁটা চলুক সুদীপ। লিখে চলো।
সুজয় যশ সব্যসাচী মজুমদারের কবিতা পড়ে লিখছেন কিছু লেখা থেকে যায় মনে । আপনার লেখা পড়লেই একটা আলাদা পাওনা ।
মানসী কবিরাজ-এর লেখা পড়ে নাম জানাননি এমন একজন পাঠক লিখছেন শেষ দুই চরণ গেঁথে গেল। লিখে চলুন। পড়তে থাকি।
ইন্দ্রজিৎ রানা পার্থপ্রতিম গোস্বামীর গল্প পড়ে জানাচ্ছেন মা তো মাকে জানে / বিভিন্নরূপে আগমনে/ দুঃখসুখের পারে/ ছোট-বড় প্রতিটি ঘরে/ হাত ধরে বলে /হেথা নয় হেথা নয় /অন্য কোনোখানে।
সুদেষ্ণা ব্যানার্জীর কবিতা পড়ে সুজয় যশ লিখছেন অপূর্ব দুটি কবিতা । ইচ্ছেরা পাখি হয়, গাছেদের জল দেয় ..... দারুণ এই কথাগুলো
স্বপন নাগ দেবাশিস সাহার ধারাবাহিক উপন্যাস 'ধুলোর সিংহাসন' পর্ব *৭ পড়ে লিখছেন ----অশোক, তার মধ্যবিত্ত ভাবনা-আবেগ বড় সুন্দর আঁকা হয়েছে এ পর্বে। সমুদ্রসমীপে একজন কবির আত্মসমর্পণ , অন্তর্গত ভাবনার অশান্ত ঢেউয়ে নিজেকে ভাঙা... বিস্তারিত বিবরণ চরিত্রচিত্রনের পক্ষে যথাযথ। একটি উপন্যাস, দুটি পর্বের মধ্যবর্তী সময়ের দীর্ঘতা যেকোনও পাঠকের কাছেই বেশ অস্বস্তিকর। বিশেষত আগের পর্বের সঙ্গে এখনকার পর্বটির যোগসূত্র ছিঁড়ে যাবার একটি সম্ভাবনা থেকেই যায়। তবু বলব, গদ্যটি এত সাবলীল ও ঝরঝরে যে, শেষ অব্দি পড়িয়ে নেবার জোর উপন্যাসকারের কলমে আছে।

কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন