বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২

অলোক পুষ্পপুত্র



 

কবি অলোক পুষ্পপুত্র-এর দুটি কবিতা 


বর্ষামঙ্গল


তুমি দেখো বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর

আমার জলপ্রপাত আকাশে উপুড়

নয়ন-- ফুটকড়াই পানি তপ্ত নাও

কাগজফুল ভাঁজের ভুল, স্বপ্ন তাও


ভাসছে তরী হাসছে নাগরিক জলে

নোয়ার তারক-মুখ আঁকা চারকোলে

দুয়ারে জলকাগজ বিপদভঞ্জন

এলো দেখো; ঋতুচক্র করি স্বস্ত্যয়ন


লবণহ্রদের সোঁতা পাতাল প্রবেশ

গভীরতা-- রমণীয় আশ্বিনের মেঘ

মোহানায় জমা করে ক্লান্ত পরমায়ু

আহা, হার্দ্য সারবান হেরি জলবায়ু...


বৃষ্টি থামে। নাও বামে। দৃষ্টি অন্য কোণ

জয় রাধে, জল সাধে নগরকীর্তন




           








হাল্লাবোল


কবিতার বই কেনে অপর কবিরা,

থিসিস করেন জমা ছাত্র-গবেষক,

পত্রপত্রিকা হাজার গ্রুপ গোষ্ঠী পাড়া

কবি নিজে সম্পাদক, তিনি প্রকাশক


গবেষণা গো-রচনা! কবি বিস্ফোরক

রেগে কাঁই প্রকাশক, মুখোমুখি হোক!

গবেষক ছাত্র তাঁর ডায়েরির নোট,

অ্যামাজনে কত কপি, হিসাবরক্ষক?


কারা ক্রেতা, কবে কোথা, পড়ুক টেবিলে!

ধূমায়িত কালো কফি-- হাউসের ঘরে

সাদা আলো, নীল আলো আপন খেয়ালে

জ্বলে নেভে, গাইডও ফেসবুক করে...


ফেসবুক, কবি, বই... বসাও-না খাপ!

বাংলা পড়ে কি ছানা, পঞ্চায়েত বাপ?


*********************************************************************



অলোক পুষ্পপুত্র

অলোক পুষ্পপুত্র(জন্ম ১৯৭২) আদতে গদ্যকার। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ "একটি রূপকথার জন্ম" তাঁকে ব্যতিক্রমী গদ্যশিল্পী হিসাবে চিহ্নিত করেছে। কাব্যে অলোক সনাতনী ধারার বাহক। তাঁর চতুষ্পদী কাব্যগ্রন্থ "চার(যা)পদ"-এর সাফল্যের পর তিনি মেতেছেন চতুর্দশপদী নিয়ে। নিপুণ দক্ষতায় পুরাতনী পয়ারের কাঠামোয় গড়ে চলেছেন আধুনিক বিষয়। আমরা পেশ করছি দু'টি নমুনা।      
  

1 টি মন্তব্য: