কবি গৌতম কুমার গুপ্ত-এর দুটি কবিতা
বেঁচে থাকার জন্য
বেঁচে থাকার সূত্রগুলি খুঁজতে আসা
আগামী দিনের ভবিষ্যত ভাবনায়
হৃদয়ের নেপথ্যে সংগীতের বৈভবে
জোনাকির আলো জ্বলে নেভে প্রেতছায়ায়
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে সাঁঝবাতিটি নিঃঝুম
পেঁচকের কান্নায় অভিসারী যুবতী ম্রিয়মান
বেঁচে থাকবার নেপথ্যে এইসব আছে
মেঘের গর্জন বৃষ্টির ধারাপাত বজ্রপতন
মানুষের মিছিলে সুখ-শ্লোগানের ঢক্কানিনাদ
বেঁচে থাকবার স্বপ্নে এইসব আছে
অভিমান অপমান- আহত রক্তপাত
আনন্দ অভিজ্ঞানে সুখসমৃদ্ধির বিপণন
শুধু বেঁচে থাকার জন্য প্রশ্বাসে গভীর।
বধ্যভূমি
অপেক্ষা ধনুর্যোজনা
তীর খোলা আছে তূণে
সংখ্যা যত তার চেয়ে বেশী লক্ষ্যভেদ
পাপষ্ক্ষালনে অন্তিম চোখ
নিপুণ শরশয্যা নয় বিনাশী বিহঙ্গ
শেষ কবে অভ্রান্ত হয়েছিল মনে নেই
জীবদ্দশায় কেটে গেছে কোটি কোটি অর্বুদ সূর্য্য
ইতিকালে ঘটে গেছে নারকীয় উদ্ভব
রক্তপাত কালিমার ইতিহাসে
এক সংযোজনে আকাশের নীচে বধ্যভূমি
তিরবদ্ধ হবে কোনদিন ভেবে ফিরে যাচ্ছে তৃষ্ণার মুখ
কোটি ভারতবর্ষ মুখ চাইতে চাইতে পিছনে পড়ে গেল
আগুনে নিষিদ্ধ হবার আগেই
একটু অপেক্ষা ধনুর্যোজনা
আমাদের একলব্য চেতনায় জাগ্রত এই বধ্যভূমি
**************************************************************
কবির জন্ম ১৩৬৭ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার গোপালনগর গ্রামে।বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বাসিন্দা।প্রথম জীবনে সাংবাদিকতা পরে ই সি এলে কেন্দা এরিয়া বিভাগের কর্মী ছিলেন।২০১৯ সালে চাকুরিজীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন।শিক্ষাগত যোগ্যতা বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে স্নাতক।পরে পার্সোনাল ম্য্যানেজমেন্ট ইনডাসট্রিয়াল রিলেশনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।আশির দশক থেকে লেখালেখি শুরু।'কালকেতু' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তো বটেই ওয়েব ম্যাগাজিনেও গল্প কবিতা প্রবন্ধ লিখে থাকেন।এ পর্যন্ত তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ " সময়ের এই জলসাঘরে,'স্বভাবের সিলেবাস','অক্ষর ভাইরাস' এবং 'বিষুবরেখার পাখি' প্রকাশিত হয়েছে।কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। "কয়লাক্ষেত্র "নামে একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।।আরো একটি উপন্যাস "কৃষ্ণগহ্বর "শীঘ্র প্রকাশিত হতে চলেছে।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন