বিকাশ চন্দ / দু'টি কবিতা
আহুতি
জন্মব্রত খেলা শুরু কে কাকে বাঁচায় ফুল ফোটাবার দিন
আত্মপরিচয় খুঁজতে প্রতি প্রিয়জন ভাঙে বুকের বাঁধন,
পরিচয় হীন সেই সব গাছেদের শেকড় বাকড় চেনে
অহংকারী পাথরের উন্মাদ পূজার বিলাস কোটরগত চোখে।
বর্ণচোরা কিছু মানুষ জানে কিভাবে হাঁটে তান্ত্রিক বশ্যতা
কে কাকে বোঝায় কুশলি বাঘও জানে জননী স্তনের অসুখ,
ভিক্ষুক জানে, কৃষক জানে, শিক্ষার বাহন সে ও জানে
রক্ত মুখি স্বপ্ন বোনে জানে কাঙাল বিদ্বজ্জন,
আঁজলা ভরে তুলে রাখছি আহত হৃদপিণ্ডের হাসি।
প্রথম প্রজন্ম বুঝিনি, দ্বিতীয় প্রজন্ম বাঁচে সংশয়ে,
তৃতীয় প্রজন্ম বাঁচে প্রতিদিন গোপন সংঘাতে
প্রতি শব্দ হৃদয়ে হৃদয় জুড়ে উষ্ণ বলয়ে সম্মতি খোঁজে।
সদ্যোজাত প্রতিধ্বনি জানে রাজপথে রক্তস্নাত গান
হৃদয় বোঝেনি তেমন বীভৎসতা স্বপ্নে শবে দেহে,
নিরুদ্দিষ্ট সময় জানে কতটা মূল্য হীন শিক্ষা সংযম।
শীর্ণ সোঁতায় সবিনয় আলো মাগে জীবনের ভিক্ষা
শরীরের শিরা স্নায়ু ভিজে গেছে সকল অক্ষর প্রতিমা,
লজ্জাহীন হৃদয়ে যজ্ঞ আহুতি জানে নিছক প্রচার মহিমা।
প্রজন্ম তালিকা
এ কেমন নিশ্চুপ এক নীরব রক্ত ক্ষরণের প্রহর
কেমন গুম মেরে বসে আছে পথ ঘাট শহর প্রান্তর
অজাত শত্রু সময়ও স্থীর বিদেশ বিভুঁই মরু প্রদেশ
বিশ্বময় ঋতুবদল অজর অক্ষরে কালের তর্জনী
শান্ত স্বরে গুঁড়ো গুঁড়ো রোদের প্রহর ডাকে
অনন্ত অন্ধকার ভেঙে সাদা পায়রার পালক ওড়ে
অজস্র পায়রার সারি শূন্যে ভাসায় শঙ্খ বুকের মায়া
চতুর্দিকে ঘিরে আছে ছায়া শরীর অচেনা সময়ে
অবিনাশী নীল চোখ থমকে দেখে ছদ্মবেশী ছায়া
নীরব ভাসান বেলায় ছলকে উঠেছিল বুকে রক্ত
ধিক্কার সময়ে মানুষের বুকের কথায় কবিতার মুখ
মঞ্চের হাততালি কেনা বেচার চৌকস পাশব বেশাতি
দেশকাল মাটি জল পাথর কথা শোনেনি কেউ
ঘিরে আছে মুখোশ আঁটা খয়রাতি সামাজিক ব্যাধি
সত্যের মুখোমুখি পরস্পর এ বড়ো দুঃসময় বহুরূপী প্রহর
জন্মের অক্ষরগুলো সাজিয়ে রাখি প্রজন্ম তালিকায়
************************************************************************************************


অসাধারণ
উত্তরমুছুন