বোঁটার ক্ষত
সব্যসাচী মজুমদার
তখন ছিল বুকের ওপর, এখন বোঁটার ক্ষতে
ধক ছিল তার শস্য ছিল। এখন সারঙ্গতে
খেলছে মাটি,খেলছে গমক।অন্ধকারেই খেলা
এসব খেলার মধ্যে থাকে সূক্ষ্ম অবহেলা
এসব না হোক আচম্বিতের গৌড়িরীতির নাচ,
সারাজীবন কূহক থাকে!মাতৃমূষিক,গাছ?
ভিটের ওপর জিউলি বাড়ে, ছাত্র লেখে ধাঁধা
হেরুক,দেখো, আমার হাতও শব্দছকেই বাঁধা
তাও যে সারস দেখার লাগি একলা জেগে থাকো,
তার ডানাতেই ত্র্যসরেণুটি ,ঢেউ হারানো সাঁকো...
তোমার মতো জলের দিকে কেইবা গেল, সখা!
গভীর দিকে ছন্দ মেলায় অশ্লেষা আর মঘা
ধাতুর ওপর গভীরতম সুখ পেয়েছে নখ
ডিমের ভেতর জীভ ঢোকাল গর্ভীনি তক্ষক
ভ্রমর এসে বিষ ঢেলেছে যেই না তোমার চোখে
মাছেরা পা কামড়ে ধরে,ওষ্ঠ খেলো জোঁকে
এই মিলাদে লড়াই করো। লড়াই হলো কামোদ
তোমার ধারায় পা ডোবালো বন্ধ্যা ছেলের স্রোত
স্রোতের মুখে বৃন্দাবনী,কড়ির গায়ে চিতি
এই জবানী হজম করে মাস কিলিংয়ের ভীতি
কিন্তু তোমার জলের ভেতর বসন পরা লোক
নিজের চোখে ঢুকিয়ে নিলো ওপর দিকের চোখ
চোখের মতো পাথর গড়ায় চোখের মতো ঝিনুক
অন্যদিকে যাচ্ছে তোমার আঁচড়ে দিয়ে বুক
বুকের ভেতর সাধের জনম,দ্যাও দ্যাখা বান্ধব
বুকের ভেতর গুমড়ে ওঠে চিত্র লিপির শব
স্তোক দিয়েছো ছবির মতো যৌন পাগল ঘায়ে
তোমার সারস বিষ খেয়েছে হাভাতে সপ্তাহে
রোমাঞ্চ এক শরীর এবং রোমাঞ্চ এক শরীর
শরীর ভরা যাদুস্খলন ঘটাচ্ছে অস্হির
আলোর ওপর পক্ষী ডাকে।পক্ষী না সন্তাপ
গর্ভ গৃহে ঘটছে তখন রামপ্রসাদী পাপ
এখন যদি তোমায় বলি,অস্ফুট সংখ্যাতে
আর কিছু না, লিখতে পারি- ঝগড়া থামে তাতে?
থামছে কী বিষ দাঁতের সে সব সঙ্গীবিহীন ক্লান্ত
যে ভয় তোমায় প্রথম থেকেই বাস্তুহারা জানতো
জানতো না ঠিক,জানতে পেরেই সীমান্তভুক চাষী
আক্রমণের পরেই যেমন মাংস খেতে আসি
*********************************************************************************************





ভালো লাগল
উত্তরমুছুন