লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল / দু'টি কবিতা
মেঘঢাকা মাধব
নেহাতই ভুল বানানের উপর একটা বাথরুম গড়ে ওঠে , নির্ঝর শব্দগুলোর সাথে দেখি সূর্য ডুবে যাচ্ছে দাসেরচক মাঠ পেরিয়ে , তারপর নগ্নতা ধুয়ে চলে চাতকের আয়তন – আলো আর নিজেকে দেখায় না, পাতায় পাতায় রঙিন ক্লোরোফিল ও সবুজ ক্লোরোপ্লাস্টে ইচ্ছে বেড়ে যায় দুদণ্ড নিশ্বাস প্রশ্বাসের ; ভাসতে ভাসতে পালক থেকে জল ঝাড়তে থাকে পানকৌড়ি, কারন মৃত্যু ও অমরত্বের কোটিদ্বয়ের সম্পর্ক এড়ানোর উপায় খোঁজে জিরো স্যাডো মুভম্যান্ট
চিরদিনের ব্যর্থ যে উপমা তার ভিতর প্রবেশ করে আমি শুধু বুঝতে পারি একটা নিদারুণ গ্রীষ্মকাল – গুমোটঝড়ে আর মেঘঢাকা অন্ধকারে মাধব সে – দীর্ঘশ্বাস ফ্যালে সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়ায়
এবার সকলে ভিজে যাও জলভাঙার পিপাসা নিয়ে

সরীসৃপের নোটেশন
অথচ কী ভীষণ বৃষ্টি হত্যায় আমাদের নদী ভিজে যায় , চতুর্দিকে শংকরগাছ আর সরীসৃপের নোটেশন ভাবতে ভাবতে কুয়াশায় ঢেকে যায় ধানক্ষেতের সম্পর্ক – ডাহুকের কাছে নীল কম্পন রেখে পৃথিবীর ছায়া উড়ে দশদিকে , মীনপাখি শেয়ার করে অসমাপিকায় ; কোনো রেফারেন্স ছাড়াই প্রাণপণে খোঁজাখুঁজি করে স্নায়ু নামের ডায়াগ্রাম : স্তব ও স্রুতির পাখিস্বরে নেহাতই মর্মর অপরিশোধিত ঋণ
হে সপথ ভাঙা ঢেউ , তোমাকে বলা হয়নি সমর্পণ ইচ্ছের টাইম ট্রাভেলে কোনো শব্দ নেই – চোখের ভেতর ঢুকে যাচ্ছে গোধূলির মুখ –ভায়োলিন বাজাতে বাজাতে দৃশ্যরা দৌড়োয় অনুপ্রাসের দিকে
দীর্ঘ অপেক্ষার শেষে আলপথ মিশে যাচ্ছে গ্যালাক্সির ঘূর্ণনে
***********************************************************************************************
আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে লক্ষীকান্ত লিখছেন :পাড়াগাঁয়ের রাস্তায় চলতে চলতে কখনো কেঁচো মাড়িয়ে যাই । পায়ের দু'পাশে আজানা ঘাসের অধিকার গুলিতে তখন শ্বাসকষ্ট । তবুও দুলে ওঠে সবুজ , হেঁটে চলেছেন আমার দাদু ঠাকুমা - সেই সব বৃক্ষের ছায়ায় বিস্তারিত কবিতা । সে দিকে তাকাই আর রোদ মাখতে থাকে চোখ । তুলে নিই বিন্দু বিন্দু আলোর কথা । আলোকিত হই নিজে নিজেই ....। কবিতার বইগুলি- হঠাৎ হঠাৎই - ১৯৯৮ মানুষের নদী - ২০০০ খরানদীর বৃষ্টি সম্ভব - ২০১০ সজনেফুল ও নিঃশর্ত সমর্পণ - ২০১১ আঁধারের পাঁজর - ২০১২ কালো নৌকার তৃষ্ণা - ২০১৩ তিলক জন্মের ছায়া - ২০১৫ হরিত প্রাণের কম্পাঙ্ক - ২০১৮ জাম রঙের পুরুষ - ২০১৯ মনস্কাম ছুঁয়ে দেখো – ২০২১ নিঃসঙ্গ নাভিচন্দন – ২০২২



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন