লিটন শব্দকর / দু'টি কবিতা
অরণ্যগন্ধ
যেদিন অভিবাসী লাল ভরুইয়ের ঠোট ছুঁয়েছে মধ্যদিনের রোদ
সেও হয়তো শুনেছে সেদিন এখানে পিপুলের বনে রোদের গান
শ্বেত আকন্দের ঝোপে চিতি বন গিরগিটিরা সহজে হেটে ফেরে।
থিতু হওয়ার মতো টেনে বাধা পালে বাতাস, বাতাসের আরামে
ঘুমের পলল রাত ফুড়ে বেড়িয়ে পড়ে চেনা গাছের পাতার গন্ধ।
গন্ধগোকুলের চঞ্চল চলাফেরা শেষ হয়না সারাদিন এ তল্লাটে;
মোটা চাদরের মতো ঘাসের সেলাইয়ের ফাঁকে বালুবোড়া সাপ,
সোনালী পাহাড়ি ব্যাঙের পিছু নিয়মের রেখা ফেলছে বনান্তরে।
ছিপি আটা বৃত্তের ভেতরে ঘুমিয়েছে অনাদৃত এক অরণ্যবিহার,
অনেক উৎসের আলো একত্রে জ্বলে উঠলেই আসে অরণ্যগন্ধ।
হরিণ
সহস্র কাচপোকার মতো বর্ষার শেষে
বৃষ্টির চাদর একপাশে গুটিয়ে যেতেই
রোদের বিভায় গা ডুবিয়ে চিত্রা হরিণ
কচি ঘাস ভরা মাঠের একপাশ থেকে
ওপাশের বনে হঠাৎই ছুটে গেল দ্রুত।
জানান দিয়েছে তারপরই তার মুখের
আধচিবানো ঘাস - অনেকটা বাতাস-
বেজে গেলো করুণ বর্ষার দুপুরবেলা
বেঁচে আছি নাম্নী এক অ্যাকরডিয়নে,
অরণ্যের দিকে যেতে পারি না দেখো
মন ছুঁয়ে ভালোবাসার সময় পাবো-
-কি না কেই জানে তুমি আমি দু'জনে!
যদিও বৃষ্টি হলে বাতাসের অচিন স্বাদ
তারপরও থাকবে সময় চারণার জন্য,
আজ যদি না বাসি ভালো, না ই বাসো
কালও মাঠ পেরোবে বারশিঙ্গা হরিণ,
লুকোবে শুধু ভালো রাখার সব অরণ্য।
***************************************************************************************************************





কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন