রামচন্দ্র প্রামাণিক / দু’টি কবিতা
বাহ্বাস্ফোট
দিকচক্রবাল জুড়ে এই সেদিনও শ্যামবনস্থলী,
নাবাল ধানের খেত অকুলীন ঝোপঝাড়-বাদাড়,
এখন সেসব হাওয়া, হাওয়া খেলছে শপিং-এ হাউজিং-এ,
অদূরে ইঁটভাটা, ভেড়ি থমথম করছে চাপা আশঙ্কায়।
কিসের আশঙ্কা? ফেঁপে উঠছি বলে কারো শিরঃপীড়া?
বিদেশী চারচাকা দেখে চোখ টাটায় হাভাতে পড়শির?
আঙুল মটকায় কেউ, দিবারাত্র বুক চাপড়ে ককিয়ে
শাপ দেয়— বোঝাতে হবে সব হিসেব কড়ায়-ক্রান্তিতে।
কে বুঝে নেবেন? কার জন্যে এত ভরসা, মাথা কোটা?
তিনি তো পাষাণ, মৃত। জলজ্যান্ত যে দেবদেবীরা
তেনাদের কৃপা থাকলে কার সাধ্য কেশ স্পর্শ করে!
কোথায় গেল?
সপ্ত ঋষি ধ্যানে ছিলেন একটু আগেও।
মাথার ওপর
নিদ্রাকাতর কালপুরুষের উপস্থিতি,
পুব আকাশে দপদপিয়ে যে চায় তারো
হিম জড়ানো হু-হু হাওয়ায়
কোন সুদূরের সাগরপারের বার্তা আনে।
নিখিল জগত হাই তুলে যেই উঠছে জেগে
মাঠের পারে একলা পাখি ডুকরে ওঠে—
কোথায় গেলি?
ঘুমের ঘোরে বুক ফেটে যায়
কোথায় গেল যেজন ছিল
আকাশ-বাতাস-সদর-ভিতর-উঠোন জুড়ে?
কোথায় গেল?
*******************************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন