গৌতম কুমার গুপ্ত / দু'টি কবিতা
বর্ণালী
মুহর্ত থেকে ঝরেছে বর্ণালী
তুমি পাপড়ি নেবে সুন্দরী?
তবে
সুগন্ধে ভেসে যাও অলীক আতরে।
আজ উৎসবে মোহনার চর
হিম ধরে রাখো সঘন
আমি ও রয়েছি প্লাবনে তোমার
বন্যায় ভেসে গেছে ঘর।
দ্যাখো,জল মুছে এসে গেছি
আজ আমি হেমন্ত পুরুষ।
প্রদীপ
সৌজন্য আর শুভ ইচ্ছা মিলিয়ে দেখে নিলাম
ঠিক কতোটুকু পেলাম
কোথাও কি বিষাদ লেগে আছে অনিচ্ছায় ?
তুমিও তো ঈর্ষা জ্বেলেছো প্রদীপে
চলো নিভিয়ে ফেলি শূন্য আলোর স্বভাব
প্রদীপের নিচে যেটুকু আঁধার জেগে থাকে
এ বড়ো সহজ কাজ নয়
প্রদীপ নিজেই ডুবে থাকে অন্ধকারে
বড়ো জোর তাকে অনুসরণ করে নিতে পারি মাত্র
প্রদীপ্তস্বভাবে
*************************************************************************************************
জন্ম ১৩৬৭ বঙ্গাব্দে বাঁকুড়া জেলার শালতোড়া থানার গোপালনগর গ্রামে।বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের বাসিন্দা।প্রথম জীবনে সাংবাদিকতা পরে ই সি এলে কেন্দা এরিয়া বিভাগের কর্মী ছিলেন।২০১৯ সালে চাকুরিজীবন থেকে অবসর গ্রহন করেন।শিক্ষাগত যোগ্যতা বিজ্ঞান এবং কলা বিভাগে স্নাতক।পরে পার্সোনাল ম্য্যানেজমেন্ট ইনডাসট্রিয়াল রিলেশনে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে লেখালেখি শুরু।'কালকেতু' নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন।বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় তো বটেই ওয়েব ম্যাগাজিনেও গল্প কবিতা প্রবন্ধ লিখে থাকেন।এ পর্যন্ত তাঁর চারটি কাব্যগ্রন্থ " সময়ের এই জলসাঘরে,'স্বভাবের সিলেবাস','অক্ষর ভাইরাস' এবং 'বিষুবরেখার পাখি' প্রকাশিত হয়েছে।কয়েকটি নাটকও লিখেছেন। ইতিমধ্যে "কয়লাক্ষেত্র "এবং কৃষ্ণগহ্বর নামে দুটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।।শীঘ্র একটি কাব্যগ্রন্থ 'যদি হৃদয়ের কথা বলো'প্রকাশিত হতে চলেছে।


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন