বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২২

অণুগল্প * পলাশ দাস



ণুগল্প সাহিত্যের একটি বিস্ময়কর শাখা। ' বিন্দুতে সিন্ধু দর্শন ?' ঠিক তাও নয় যেন, বিন্দুতে সপ্তসিন্ধু দশ দিগন্ত চকিতে উদ্ভাসিত হয়ে ওঠে সার্থক অণুগল্পে। তেমনই একটি অসাধারণ অণুগল্প এবার আমরা পড়ছি ,পলাশ দাস-এর কলমে -----


ঠুক্ 

পলাশ দাস








ঠুক্ করে হওয়া সামান্য থেকে সামান্যতম শব্দতেও বিরক্ত বোধ করে অনন্য।    


এই ব্যাপারে তৃষার ট্রেডমার্ক বক্তব্যও অনন্যকে পাল্টাতে সাহায্য করেনি, “মাথাটা একটু ঠান্ডা করো, এভাবে চলা যায়। এত মাথা গরম করলে হয়!” তারপর দুজনেই একটু চুপ থেকে মুচকি হেসেছে। সেই সময়ের জন্য অনন্য তৃষাকে বুঝিয়ে দিয়েছে পালটে নিলাম, কিন্তু তারপর যে কে সেই।  



আকাশের তারাগুলো আজ নেমে এসেছে ওদের বাড়ির গায়ে। মুহুর্মুহু তারা রং বদলাচ্ছে। অনন্যর ঘরেও সেই আলোর কিছু অংশ এসে পড়ছে। চেয়ারে বসে অনন্য দেখছে বারান্দায় জ্বলতে থাকা অসংখ্য প্রদীপের শিখা কেমন কেঁপে উঠছে তৃষার চলাফেরার সাথে, চোখের মৃদু ভঙ্গিমার আকর্ষণে।  


হঠাৎ হাওয়া উঠল উত্তরে শিরশিরে হাওয়া। দক্ষিণের বারান্দাতেও সেই হাওয়া বয়ে গেল। একটা ঠুক্ করে শব্দ হয়ে তেলের বাটিটা গড়িয়ে পড়ল মেঝেয়। 

    

চেয়ারের হাতলে ভর দিয়ে সোজা হতে হতেই আলোগুলো নিভে গেল। চেয়ারের হাতেলই ভর দিয়ে অনন্য বলল, “ও,তুমি চলে গেলে...!”   


***********************************************************************************************************



 পলাশ দাস

জন্ম:- 27 মার্চ, 1989,বারাসাত।
স্থায়ী বসবাস বারাসতে। পিতা- প্রদ্যুৎ দাস, মাতা- কৃষ্ণা দাস।
2018 সালে প্রথম কবিতা প্রকাশ,কলকাতা শব্দহরিণ পত্রিকায় সাত্যকি নামে(পরিবার প্রদত্ত নাম পলাশ দাস)। পরবর্তীতে নিজ নামেই লেখা প্রকাশ। লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বা হচ্ছে।কবিকথা, কাগজের ঠোঙা,কালধ্বনি, পদক্ষেপ,সাহিত্য সৃজনী, সাগ্নিক, অবেক্ষণ, অর্বাচীন,মুখর,কবিতা সীমান্ত, আখরকথা, কবিতা নগর,ষোলো আনা, ঝিলম,ভোরের সাঁঝপথ,কবিতা কুটির, আজকের কুরুক্ষেত্র,বিবস্বান,নৌকা প্রভৃতি।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন