নিমাই জানা / দু'টি কবিতা
মৃত শরণার্থী ও দশম যোজ্যতার মুখগহ্বর
মৃত শরণার্থীর মতো ৩১ দৈর্ঘ্যের ইডিমা চতুস্তলক রোদের ধারালো নোনামাধবচকের অদৃশ্য পুরুষেরা ধূসর হয়ে যাওয়ার পর শুক্রাশয় চিহ্ন নিয়ে ১৩ টি শ্মশানের জ্বালামুখে অজস্র অগ্নিপথের সমিধ স্নান বায়ু জ্বেলে দিল অন্তঃস্থ বর্গের ঋ আকার মিথিলা বর্ণমালা দিয়ে , কোন এক অতিভূজের মতো রক্তাক্ত নারী ছেঁড়া ছেঁড়া জিভের ভেতর নীল সাপের খোলস তৈরি করে রজঃস্রাবের পিপাসার্ত রক্ত , আমি সাদা অপরাজিতার ভেতর একটি শনিময় ভূখণ্ড তৈরি করি মৃত্যু রঙের সরলরেখায় দাঁড়িয়ে , আমাদের কোন এক জন্মে দশম যোজ্যতার মুখ গহ্বর ছিল
একটি কাঁকড়া বিছা ঘুরে বেড়াচ্ছে আজও সধবা আগুনের চারপাশে নিজের গোলাপী ছায়া খাবে বলে ব্রহ্মাণ্ড যোগের পর এক উভয়লিঙ্গ রাত্রি সারারাত থকথকে পান্ডুলিপিহীন কালপুরুষের সাথে মৈথুন দেখছে তৃণভোজী গোড়ায় দাঁড়িয়ে , ঈশ্বরী মাঝে মাঝে বেল পাতা দিয়ে নিজের জিভ কেটে সন্ন্যাসীর চ বর্গীয় কোলাইটিক ব্লকেজ তৈরি করে স্থানাঙ্কের পরিবর্তে, মৃত্যুকে ঠিক ২.৫ মিলিয়ন স্পার্ম ডেনসিটি বলেই মনে হয়
বায়োপসি ওভামের ভেতর নীল ময়ূরীরা আমার ঈশ্বরীকে কাগজ ফুলের মতো গুঁড়িয়ে দিচ্ছে এক তৃতীয়াংশ সপুষ্পক উদ্ভিদের মাথায় বসে থাকা শ্মশান পোড়ানো বালকদের মতো
তুমি কি গভীর রাতে নিষিদ্ধ শিব ঠাকুরের কাছে বাদামি রঙের শিঙ্গা বাজাতে বাজাতে শুক্রস্খলনের কবিতা লিখতে পারো বানভট্ট ,আসলে মৃত্যু , মৈথুন , শুক্র , পুরঞ্জন , সিলিকন মেমোগ্রাফি , পদার্থ , জড় , মিথেন এই শব্দগুলো বারবার রাত্রি দুটো দশ মিনিটের পর আরো গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যায় আমার সুষুপ্তির কারণে
মৃতভোজী অশ্বারোহীদের নিয়ে আমি কাঁচ রঙের ছায়ার ভিতর ২৬৪ টি হোমাগ্নি দিয়ে বিশুদ্ধ করে তুলেছি শ্মশান বন্ধুদের অগস্ত্য স্নানযাত্রা , প্রতিদিন পরশুরাম ক্ষত করে যেত আমাদের ক্রেনিয়াল নার্ভকে
শৈলোৎক্ষেপ বৃষ্টির পর সকলেই নপুংসক হয়ে যায়
আইসোটোনিক যোনীছিদ্র ও শিউলিপুরের জলপ্রপাত
আমি টেফলন পশমের পোশাক পরে বিলীয়মান রঙের আইসোটনিক যোনিছিদ্র খুঁজে বেড়াই বস্ত্রালয়ের ক্রোমোপ্লাস্টিড অর্ধনগ্ন পুরুষদের কাছে , রেনিটিডিন খাওয়ার সময় প্রতিটি মানুষ পক্ষাঘাত রোগে আক্রান্ত হয়
মৃত্যুকে ঠিক ফাউন্টেন পেনের মতো আমি দেখেছিলাম ব্লু লেগুন হ্রদের পাশে
ঈশ্বর, মহাকাল আর তেত্রিশ দেবতাদের পাশে দাঁড়িয়ে তিন বর্ষীয় বিষ্ণু আমাদের সাথে ধূসর রঙের কমলাসনে বসে পৃথিবীর নিঝুম গর্ভগৃহের দিকে তাকিয়ে থাকে , নিজের অন্তঃশক্তি দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে চাইছে সতীমায়া ও যোগমায়া নিজেকে
সারারাত গলাধঃকরণ করি আকন্দ ফুলের বিষ , শুধু যজাতির মতো মেষপালক হয়ে আমাদের আর কোন অসদবিম্বের কাচঘর নেই ,
আমার প্রতিবিম্বের ভেতরে শুধু বর্গক্ষেত্রের নরককুন্ড তৈরি হয় আমি শুধু মৃত্যুকে পশ্চিম দিকে মুখ করে ঘুমিয়ে রাখি এখানে রজনীগন্ধা আর ধুপের বৃত্তাকার গর্ভগৃহে একা একা নাবিকাগন হারিয়ে গেছে কতদিন
যেখানে সাপেরা তাদের অপরিশুদ্ধ বিষের ধারালো ধাতব পাত্র রেখে যেতে পারে হলুদ রঙের একমুখী খেয়াঘাটের কাছে
সরু সরু কৃষ্ণকায় লোকেরা বসে থাকে শিউলিপুরের নাভির দিকে মুখ রেখে, অপরিণত বৃষ্টি দানায় শুধু মৃত্যুকে চকচক করে পারদ দানার মতো
আমাদের কোন গ্রাফাইট নেই , তড়িৎ ক্ষেত্র নেই , সেবিকাবৃন্দ নেই , শুধু লাল নীল লাইকোপোডিয়াম বীজপত্র গুলো টেন্স টু মৃত্যু হয়ে গেছে ,
সব ধানবীজে অংকুর পত্র নেই বলে মহামায়ার আদিম শরীর তৈরি করে পিন্টু মাইতি নোনতা স্বাদকোরকের ঈশ্বরীরা কালো কালো জিভ বের করে দাঁড়িয়ে থাকে এক একটি জলাশয়ের ধারে ,
সব ধোঁয়া বৃত্তাকার আকাশমনি ফলের মতো জায়মান সারসদের সাথে বল্গাহরিণের প্রচ্ছায়া হয়ে হেঁটে যায় কোন কোন স্ত্রীলিঙ্গ ধোঁয়াকে নিজের তৃতীয় পাঁজরের ভেতর রাখবে বলে,
আমি ও অনন্ত চতুর্থ পরজন্ম পর্যন্ত মণিকর্ণিকার ঘাটে তৃতীয় মৃত্যু চাইছি , জ্যামিতিক হীন একটি রুদ্রাক্ষ তাকিয়ে থাকে অযৌন উপাচারের দিকে , ঈশ্বর দেয়ালে ভূগর্ভস্থ অসুখ লুকিয়ে রাখে
শুধু সন্ন্যাসীরা সাইট্রাস বাণপ্রস্থের পর বিবিধ ফার্নিচার রঙের শবাসন নিয়ে দেবালয়ে ঢুকে যায় ধাবমান ঘোড়াটির মতো
অভিরুদ্ধ মিথাইল নৌকার উপর একটি কাপালিক আঁকছে থ্রিজি গ্রাফাইট গুঁড়ো দিয়ে , নটরাজ নগ্ন বলেই পাথর হয়ে আছেন
*****************************************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন