সায়্যিদ লুমরান / দুটি কবিতা
শ্রুতিলিপিকর
কবি মূলত একনিষ্ঠ শ্রুতিলিপিকরঃ সে সর্বক্ষণ অপেক্ষায় থাকে ডিকটেশনের এবং
আমন্ত্রণ পত্র পেলে শুনতে যায় পাখি ও প্রজাপতির সাথে ভরদুপুরের কথোপকথন।
কোথাও কোথাও বিনা নিমন্ত্রনেও যায়, সংরক্ষিত কারও কারও অন্দরে সে রাতদুপুরে
পায়চারিও করে। এসব ছাড়াও
বৈকালিক ভ্রমণরত মেঘ যদি ইশারায় কিছু বলে 'কোট-আনকোট' সমস্তই সে দাঁড়িয়ে
থেকে শোনে। কবির কোন টেপরেকর্ডার নেই, থাকেনা- মগজেই সব লিপিবদ্ধ রাখে।
অতঃপর বিশেষ মুহূর্তে মুহূর্তে প্রথমত মগজ থেকে বুকে ক্রমান্বয়ে বুক হতে বুকপকেটে
ডিকটেশনের লিপিগুলো পদ্য হয়ে ওঠে।
বুক নয়, ফেটে যায় মুখ
পৃথিবীর সাথে সাথে উষ্ণতা বেড়েই চলেছে
বাঙালি নারীর দেহ ও মনে
ফলতঃ
কামনার আদিম আবেগ
গলে প্রায় ডুবু ডুবু তাদের বুকের বদ্বীপ
এবং
এ তল্লাটে শিকারী পুরুষ নেই!
কতিপয় নপুংসক ধরে আছে বঁড়শির ছিপ
তাই এখন প্রেমে ও কামে
এইখানে
প্রায়শই নারীদের বুক নয়, ফেটে যায় মুখ।
**************************************************************************************************




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন