প্রশান্ত মন্ডল * দুটি কবিতা
জোনাক
তারপর...
রাত বাড়ে, বাড়তে থাকে
যেভাবে ঘন শাদা হতে থাকে চাঁদ
আমার ঘুম উড়ে গ্যাছে বেমালুম।
তুমি, একটি বারের জন্য ফিরে আসতে পারতে
তুমি, এ রাতগুলোর ঘনত্ব মুছে ফেলতে পারতে
তোমার আঁচলের আবডালে
দ্যাখো, এই জ্যোৎস্না ভরা রাতেও
অশ্বত্থ গাছের নীচে জোনাকীরা কেমন
স্বপ্ন বিলিয়ে দিচ্ছে..
জলঘড়ি
স্বপ্নের ভেতর ডুব দিই সাগরে
মুক্তো তুলে আনার জন্য নয়
জলের অত্যন্ত গভীরতা থেকে
সামুদ্রিক মাছগুলোর নৃত্য উপভোগ করতে
ওই মাছেরা বোধহয় জানেই না!
পৃথিবী অনেকদিন ওদের নাচ দেখেনি
নইলে আজও এই মন্দার বাজারে টিকিট কেটে
মেলায় কেউ চিত্রাহার দেখতে যেত না
আমি জলের ধারে বসে শুধু সময়ের কাটা মাপি
পৃথিবীটা একদিন পুরোপুরি বদলে যাবে
আর মাছগুলো ঠিক ডাঙায় উঠে এসে বলবে...
'বহুত হুয়া, এবারে নাচ্ বাসন্তি নাচ্!'
*******************************************************************************************************
পিতা- লক্ষীকান্ত মন্ডল ও মাতা- কিরণবালা মন্ডল। ভারত, পশ্চিমবঙ্গ তথা শিলিগুড়ি শহরের একটি ছোট্ট গ্রাম অম্বিকানগরে জন্মগ্রহণ এবং স্থায়ী বাসস্থান। জন্মের কিছুকাল পরই মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং ধীরে ধীরে অভাব-অন্টনের মধ্যে এগিয়ে চলার পথ তথা জীবন-বৃত্তান্ত। লেখার আগ্রহ তথা গুণী ও শ্রদ্ধেয় মানবদের জীবনী পড়বার ঝোঁক শৈশব থেকেই। প্রথম লেখার হাতেখড়ি বিদ্যালয় জীবনে এক তরুণ কবি তথা স্কুল শিক্ষককে দেখে। প্রথম আত্মপ্রকাশ "মুখচ্ছদ্ম" নামক আঞ্চলিক পত্রিকার দ্বারা। এরপর "শুকতারা" পত্রিকায় কবিতা প্রকাশ। ধীরে ধীরে সময়ের হাত ধরে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা, যৌথ সংকলন, ই-সংকলন, ই-ম্যাগাজিন এ লেখা প্রকাশ।
লেখালেখি ছাড়াও পাশাপাশি চলতে থাকে শিল্প-কর্ম, সঙ্গীত চর্চা, নাটক-থিয়েটার, অভিনয় চর্চা এবং সমাজসেবামূলক কার্যকলাপও চলতে থাকে সুযোগ পেলে। আর এই পরিমিত জীবনের যা কিছু দেনা-পাওনার গল্প তা স্বর্গীয় পিতা-মাতার প্রতিই উৎসর্গিত।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন