বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২৩

নিমাই জানা



নিমাই জানা /  দুটি কবিতা

জীবাশ্মহীন মহাপুরুষ ও আদিম রেখাচিত্রের সন্ন্যাস








মথুরার দিব্য বিমান থেকে নেমে আসেন আপতন কোণের মতো সমকৌণিক রেখাচিত্রের সাংখ্যমান ফেলে আসা অজিত  দৈর্ঘ্যের মহাপুরুষ হয়ে , তিনি সপ্তম

অষ্টম গর্ভের ভেতরে থাকা চতুর্দশ অবতারের জীবাশ্মহীন কঙ্কাল বয়ে নিয়ে যান নিজেই নিজের স্বীয় কাঁধে রাখা হলাশন গলিত নৌকাটির মতো ,

দ্রাক্ষাহীন রুদ্রাক্ষ সরোবরে তিনি প্রতিদিন মহাকালের সাথে সঙ্গমরত পিচ্ছিল স্নান সেরে আসেন , উদ্দালক , উজ্জীবন তিনি মহাঘোরের মহাপুরুষ তৃতীয় বন্ধনীতে প্রতিদিন ঘুরে বেড়ান বিষুব নগ্ন ঈশ্বরীর রক্তাক্ত প্রতিবিম্বের মতো

জিভ দিয়ে গর্ত করে ফেলছেন এই মহানাদ , শঙ্খ শরীরের আদিম সুড়ঙ্গের প্রত্যুষ্কাল

প্রাচীন বাৎসায়ন তিনি , তিনি বদরিকা , তিনি অক্রর সমাঙ্গ সাথী

কালিন্দী স্নানাগারে নেমে মাঝে মাঝে রক্তস্নাত ক বর্ণের পিশাচময় বিষ পাথরের দেবদারু রমন বীজগুলো একাকী শীতল কক্ষপথে ঢুকিয়ে নিচ্ছেন , চমৎকার সৃজন তিনি অপরূপ জন্ম সন্ন্যাস

আগ্নেয় অসুখ মুখে করে বসে আছেন ঈশ্বর রজত শুভ্রের মত

৬৪ রাসমঞ্চের শরীর থেকে ৩৩ দশমিক ৩৯৬ দৈর্ঘ্যের এক একটা কম্পাঙ্ক বিহঙ্গ ঝুলে আছে বিরজা ক্ষেত্রের হত্যাকারীর মতো , পাখিরা শিখে নিচ্ছে জন্ম সুতোর দাহ ও দ্রোহ পর্ব

মথুরা আমি ,  শুধু অবধূত স্নান সেরে বারবার কাপালিক স্রোতের মতো পাঞ্চজন্যের রমণ স্নান দেখছি একাকী ,

মোক্ষ বস্ত্রাদি ফেলে রেখে আসার পর অশ্লীল সারারাত , ধুম্র কাননের দিকে ফেলে আসে এই আখরোট পতীত জলভূমি,  শুক্রকীটের মতো সব দানাদার কবন্ধ পাখিরা শবাসনে বসে বসে নৃতাত্ত্বিক হয়ে উঠছেন , সোম রসের স্নান করছেন আদিত্য ও ভৃগু













শ্রীহীন পাদুকাপুর ও কুরুক্ষেত্রের স্থানাঙ্ক বিন্দু

করুনাময় তিনি, আলোকময়তার রতি বিহারের পর হীরক বিন্দুর মতো স্বেদক ও স্বেদন চিহ্ন নেই অপরাজিতার মতো যোনীময় যোনিহীন , লিঙ্গহীন স্থানিক অক্ষৌহিনী সেনাদের শরীরে ,

একে একে প্রহার করছেন কুরুক্ষেত্রের প্রতিটি ক্ষত মুখের নগ্ন পরজীবী সমগ্রদের , শ্বেতাঙ্গ ঈশ্বর রেচন ত্যাগ করলেন পাদুকা উপবনের মতো নিশ্চিদ্র সরোবরে

প্রতিটি হর্ষ ধ্বনি সমগ্ৰ ছুঁয়ে যায় এ ক্ষতচ্যুত আলোকবর্তিকার নশ্বর শুন্য নভোচারীর দিকে ,  বাজে ঘন্টার ধ্বনি প্রতিটি মন্দির ও নিক্কন সমূহ খনিজ পদতলে

ঈশ্বর জলজ হয়ে উঠছেন কাষ্ঠ ফলকের মতো

সবাই জড় ভূত  , ঈশ্বর কুক্কুটাসনে বসে থেকে রণবীর স্নানের নৃত্য করছেন , নৃত্য করছেন বিহঙ্গলার চরাচরে

প্রতিদিন রাসক্ষেত্র থেকে নিউক্লিয় অঘোর থেকে অঘোর তন্ত্রের আরো সমর্পণ রেখাচিত্র রেখে দিচ্ছেন শ্রীহীন বিহারীচকের মধু পুরুষদের জন্য

মৈথুন্যময় , মৈথুন আসলে খনন বিষয়ক সঙ্গম তত্ত্ব

মিলিয়ে যাচ্ছেন পরমাত্মার সাথে জীবাত্মার এক সুখ তম সাংকেতিক পরম সংযোগের জ্যামিতিক চিহ্নের অলৌকিক রেখা , গাণিতিক প্রহর সংযোগ এই ব্রহ্মকালের তীব্র ব্রহ্মাসনে বসে থাকা উৎপল দিক খন্ডগুলো , নীল ধর্মের বিরাজমান আগুন কাম ও ক্রোধের নৃত্য করছে

চরাচরে সব ধূসর সংসার রজঃ বন্ধন ছেড়ে মিলিয়ে যাচ্ছেন অষ্টম রিপুর এক জনপদের বিযুক্তির মতো

বিষুবরেখায় একা একা হেঁটে চলেছেন দীর্ঘ বাহুময় অমিত শুক্রের অধিকারী , মৌলিক ও ধ্রুবক সঙ্গমে চরম নির্লিপ্ততায় মৌন মুখর হয়ে বসে আছেন অদ্বৈত আচার্য হয়ে



*********************************************************************************************



নিমাই জানা

 এ সময়ের অন্যতম শক্তিশালী তরুণ কবি । রুইনান সবং পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে লিখছেন প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ :  ছায়ার মূলরোম ও  নির্জন পুরুষ অসুখ * জিরো কম্পাঙ্কের পেন্ডুলাম * ঈশ্বর ও ফারেনহাইট জ্বরের ঘোড়া * ইছামতি ঈশ্বরী ও লাল আগুনের ডিম্বকোষ * রজঃস্বলা বৃষ্টির গুণিতক সংখ্যাগুলো


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন