কবি মানসী কবিরাজ-এর দুটি কবিতা
পরিভ্রমণ
এ তুমি কোথায় আনলে অমিতাভ !
দ্যাখো , হাতের এই অন্ধ পিপাসা
জোনাকির মসৃণ থেকেও কেড়ে খায় আলো
কালপুরুষের কোমর –বন্ধনী থেকে , খুলে নেয়
নাক্ষত্র আগুন
ফোসকা-জারিত এই শরীর ,
রক্তের নুন চাটে শুধু
নাভির তরাইয়ে রাখে
সন্দেহ বাতাস !
আত্মদীপ নিভু নিভু হলে , কোনও দর্শনই
কাজে লাগে না অমিতাভ ।
শুধু গাছ পুড়িয়ে পুড়িয়ে , দু-চারটে মেকি কবিতা
আর
জিভের তীক্ষ্ণ আলপিন ।
তার চেয়ে , এসো
অমিতাভ ,
ভাঙা ডানায় বর্ষা লুকিয়ে
টগবগে গরম বেড়ে রাখি ।
নির্বাণ
মানসী কবিরাজ
কি করে লুকিয়ে রাখো এমন রত্ন আকর
এমন লোহিত প্রবাল এমন বৈদূর্য মণি !
কোন মায়াবলে বুকের মেঝেতে
পেলবে লালন করো স্রোতোস্বীনি নদী কিংবা ফুলেল বাতাস
কীভাবে আত্মস্থ করো বৃক্ষ সংলাপ
আত্মস্থ করো পাখির মিতালি !
কোন নির্বিকার দর্শনে বলো ,সদম্ভে অতিক্রম করো
বিছানা বিলাস
অনায়াসে এড়িয়ে যাও যুবতী বিকাল
এড়িয়ে যাও কটাক্ষের গাঢ়
কিংবা
কমলা ঠোঁটের স্ফুরণ
কোন বৌদ্ধিক ঋজু পা ফেলে ফেলে
অনভিশপ্ত পেরিয়ে যাও লক্ষণ রেখা
অগ্নিতেও কি অদাহ্য তুমি
নাকি পাবকোথ্থিত এক যাজ্ঞিক পুরুষ
তবুও দ্যাখো ,যৌবন প্রান্তিকে এসে
সেই তো জলেই পুড়ে গেলে !
অথচ দীর্ঘকাল প্রতীক্ষায় থেকে ,তোমার নিজস্ব রমণী ততদিনে
শিখে নেয় পরকীয়া পাঠ
নির্জনে পড়ে থাকে শুধু , একা এক
নির্বিকল্প সমাধির মাঠ
*****************************************************************
খুব ভালো লাগল
উত্তরমুছুনদুটি লেখাই বড়ো সুন্দর । পরিভ্রমণ মন ছুঁয়ে গেল ।
উত্তরমুছুনশেষ দুই চরণ গেঁথে গেল। লিখে চলুন। পড়তে থাকি।
উত্তরমুছুন