অভি সমাদ্দার / তিনটি কবিতা
তলান্ন, এই তরঙ্গপ্রাণ-১
যেভাবে তাকাও তুমি
সেভাবে এই অন্তর ফোটা দিন
হসন্তজখমে
বুঝেও যেন না বোঝার দিন-
মনে হয় ভুল করি
মনে হয় ছুটে যাই তুক ভুলের কাছে
নদী নিরুত্তরের কাছে
কোথায় পরম আর কোথায় পরম-প্রমাণ!
তার'চে তরল মশগুলে, দীনানুদীন
তার'চে তরঙ্গপ্রাণে
ভরা থাক
শালপথের উধাও হাওয়াটি
শ্বাসের প্রতিটি আছন্নে
সময় যেন সময়ে এসে
ডাকনামে ডেকে ওঠে
সময় যেন দূরে ওই আগুনে পলাশ
দূরে ওই গোধূলি গোধূলি
তলান্ন,এই তরঙ্গপ্রাণ-২
যা থাকে তা গোত্তা তরলেই থাক
এই স্ব প্রচুর ছেঁদা
দেহময়
এই ছড়ানো বিছানো কার হাহা
মনোময়
এসব ধরা-ছোঁয়ার কে এত
সমূহ ঝুঁকি!
কে এত চোখা হচ্ছে ছলাৎচ্ছলে
হে জীবন ডাক অনন্ত নয়
ছায়া ধিকিধিকি অনন্ত নয়
শিশুরা ডানা মেলে ফিরে আসে
পথরেখাটি তোমার যাতায়াত
শুধু রেখার নতুন গন্ধে
যে লেখে তার ক্ষরণ টরণ
পড়ে থাকে
যে পড়ে, তারও কী একার্তি ছলকায় !
তলান্ন, এই তরঙ্গপ্রাণ-৩
যেন আলো খুঁটে নেবে পাখি
যেন স্তিমিত হৃদের এক শোভা
প্রদোষে খুঁটে নেবে
আর সান্ধ্য আড়ালে
ওই আমাদের আধা অল্প কাৎ
ঠেকা ধরে আর তুলে নেয়
জলের মতো নখরগুলি-
এই তো আঁচড়ে ওঠার উচিত বেদনা !
তবু, মরু কেন সাজালো কুসুৃম!
ভাবতে ভাবতে একটি ছবির পাশে-দূরস্মৃতি
একটি পাখি ওড়া দূর রং
ভিজিয়ে দিচ্ছে নখরগুলি, আঁচড়গুলি
যেন কেউ ফুটে উঠছে, ছায়াপ্রাণ
কুসুমে বেদনায়
যেন কেউ রঙের তরলে, মরুকারু
ভেঙে ভেঙে
রয়ে যায়
শূন্যসংগ্রহে…
***************************************************************************************************
জন্ম- ১৯৭৭। কৈশোরকাল থেকে আজও টুকটাক লিখি। কবিতা আমার কাছে একজন একাকী সাধনার অন্তর্বস্তু। তাই আমার বিশেষ কোনো যোগাযোগ নেই। ফেসবুকই মূলত আমার আত্মপ্রকাশের জায়গা। কচ্চিৎ কখনো দু'একটি লেখা কিছু ওয়েবজিন-এ প্রকাশিত হয়। 'বাক' 'দেহলিজ' 'মহাভারত'। এমনই কিছু নাম। গত বইমেলায় একটি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে - নাম - ' পিছলভুক'। প্রকাশক - গীর্বাণ।




খুব ভালো লাগলো। সবগুলো পড়লাম বেশ লাগলো।
উত্তরমুছুন