কবি জুয়েল মাজহার-এর একটি কবিতা
ভিনদেশি স্ত্রীলোক বিষয়ে
স্ত্রীলোক বিষয়ে খুব কম জানি
সে-কারণে অভ্রপথ দূরে বসে, ঈসায়ী শতকে বসে আমি
ভিনদেশি স্ত্রীলোকের কাছে পত্র লিখি
দেহ-আঁচ মিশিয়ে ইথারে, সে-ও চিঠি --অনক্ষরে--পাঠায় আমাকে
অক্ষরের স্বপ্নে ঢুকে
সে আমাকে চিনে নিতে, জিনে নিতে থাকে
----এইভাবে প্রতিরাতে ডেকে ওঠে কুহু ও কোকিলা
পাছে সে কুপিত হয়, আমি তাকে ভয়েতে বলি না:
তারই মতো একাধিক ভিনদেশি বালা
সুড়ঙ্গের অদৃশ্য কপাট সব একে একে খুলে দিতে বলে
লুকানো চাবির খোঁজে আচমকা হাত রাখে জেবে ও পকেটে
আমি কিছুই করি না; শুধু ভয়েতে বিমূঢ় হয়ে থাকি
কারোরই চেহারা আমি এখনো দেখিনি; তবে,
এরই মধ্যে তাদের অনেক স্তর ভেদ করে
গেছি আর আশ্চর্য ও অবাক হয়েছি
ভিনদেশি কামিনীরা দিনে দিনে প্রিয় হয়ে উঠেছে আমার
আমার জন্য তারা হাওয়াপথে ভাসিয়েছে
নিজ-হাতে-তৈরি কতো নকশাদার আশ্চর্য রুমাল
তারা প্রত্যেকেই ভালোবেসে আমাকে জানায়:
ভিনদেশি বেগানা পুরুষে শুধু জ্বলে-ঝিলকায়
তাদের একান্ত গোপন ফসফরাস
স্ত্রীলোকের থেকে পাওয়া এইসব দূরাগত কুহু
আগামীকালের জন্য বসন্তের গর্ভে ভরে রাখি
******************************************************************


সুন্দর কবিতা
উত্তরমুছুনকাছের চরিত্র দূরে চলে যায়,অনাগত কল্পতরু আপন করে মন।আষ্টেপৃষ্ঠে কিছু একটা জড়িয়ে ধরতে চায়। দেখে পড়ন্ত রেলিং এ ঝুলন্ত তারই মত অগণিত একতারা,নিভৃত গোপনে একমাত্র সংবেদনশীলের বাসর সাজায়।
উত্তরমুছুনঅপূর্ব আপনার কাব্যিক প্রকাশ।অভিভূত হলেম গুণীজন🙏🙏