একটি নিখিল বঙ্গ ভারতীয় কসমিক কবিতা উৎসব
স্নিগ্ধদীপ চক্রবর্তী
১.
যারা কবিতা পড়ে, তারা কবিতা পড়ে না
যারা কবিতা লেখে, তারা কবিতা পড়ে না
লেখা ও পড়ার মধ্যে এত গাড়ি-চলা ফাঁক,
তবু 'লেখাপড়া' সহবাসে আছে, থাকে,
থেকে যাবে
২.
সৌজন্যসংখ্যাই কেবল পড়ে যারা,
তারা নিজের লেখাটুকু ছাড়া
পত্রিকার কিছুই পড়ে না
লেখার কাঁকরে সম্পাদনার চাল খুঁজে পেলে
সম্পাদকের পেছনে
বাঁশ গুঁজে দেবে ভাবে
৩.
কবিতাকাননে কত ফুল!
উৎসবপ্রাঙ্গণে ফুলকর-মালাকরেরা
ফুলের চুল ছিঁড়তে বসে গেছে
তাদের কারও বুদ্ধি হাঁটুতে, কারও নিতম্বে
আর বোধ সর্বস্ব যাদের
তারা পানপাত্রে সংবেদনা খাবে
৪
বুড়োগাছের সঙ্গে সেলফি নেবার আগে
সাজগোজ ঠিক করে নিচ্ছে
তরুণী লতারা
দাঁত ও আতার মধ্যে মিল হল
(প্রকৃত প্রস্তাবে)
৫
কেউ চিঠি পায়,
কেউ পায় না কবিতাপাঠের
পায় যে সে সুখবর ছাড়ে,
যে পায় না সে দুঃখবর পাড়ে
মাপে জল খাপে তেল— তারা মকটেল বসাবে
*************************************************************************
প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচ.ডি.। বর্তমানে কলেজশিক্ষকতায় যুক্ত। লিখেছেন 'বিনয় মজুমদার: জীবন ও সাহিত্য' নামে একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। অন্যান্য গ্রন্থ: 'বিনয় মজুমদারের নির্বাচিত কবিতা: পাঠ ও প্রসঙ্গব্যাখ্যা' (সম্পা.) ও 'এক আশ্চর্য ফুল: বিনয় মজুমদার' (সম্পা.)। প্রকাশিত কবিতার বই তিনটি: 'হৃদয়ে তেইশ নট', 'সূর্যাস্তে চুম্বন' ও 'অদিনের লেখা'। 'স্বলীন সংলাপ' নামে লিখেছেন একটি কাব্যনাটক।




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন