সোমবার, ১৩ জুন, ২০২২

কবিতা বিষয়ক গদ্য * সুশান্ত চট্টোপাধ্যায়


রুদ্ধ অলিন্দে প্রান্তরের গান 

সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় 


আন্দ্র ভাইদা'র "ক‍্যানাল" ছবিটির শেষ দৃশ‍্যটির কথা মনে আছে ? মাটির নিচে পয়:প্রনালীর ভিতর দিয়ে চলেছে "ওয়ারশ আপরাইজিং"এর পোলিশ যোদ্ধারা। উল্টোদিকে পয়:প্রনালীর জল কলকল করে আসছে। আধো আলো আধো অন্ধকারে দেখা যায় পোলিশ যোদ্ধারা জার্মানদের হাত থেকে দেশকে মুক্ত করার প্রতিজ্ঞায় এগিয়ে চলেছে। ১৯৫৭ তে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের এই দমবন্ধ করা দৃশ‍্যটির কথা আবার মনে পড়ে গেল দেবীপ্রসাদ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায়ের নতূন কাব‍্যগ্রন্থ '" করোনার কবিতামালা " পড়তে গিয়ে।  আমাদের মনে আছে ২৪মার্চ ২০২০ ভারতব‍্যাপী লকডাউনের কথা। সেই লকডাউনের সময়কালে রচিত শিরোনামহীন বিরাশিটি কবিতার সংকলন এই কাব‌্যগ্রন্থ। দুটি পর্বে বিন‍্যস্ত কবিতাগুলির প্রথম পর্বে চুয়াত্তরটি ও দ্বিতীয় পর্বে আটটি কবিতা। প্রতিটি কবিতাই চোদ্দ লাইনের। দেবীপ্রসাদের কবিতার ধারাবাহিক পাঠক হিসেবে একথা অবশ‍্যই বলতে পারি " কবিতা  ১৯৫৬ - ১৯৬১", "কেবল দেখেছে শিয়রলতা", "আউশছড়ার মরামুখ", এবং "কশেরু ছুঁয়েছে পাইপগান"-এর পরে এই কাব‍্যগ্রন্থ কবিতাপাঠককে আগ্রহী করে তুলবে। দেবীপ্রসাদ এইভাবে সমকালের চিহ্নজড়ানো কবিতা এর আগে কোনোদিন লিখেছেন বলে মনে পড়ে না। ১৯৩৬ এ তাঁর জন্ম। কবিতা ছাড়াও জীবনানন্দের কাব‍্য সংগ্রহের সম্পাদক হিসেবেই তিনি পাঠক সমাজে বেশি পরিচিত। তাঁর ব‍্যতিক্রমী গ্রন্থ "জীবনানন্দ দাশের বিকাশ প্রতিষ্ঠার ইতিবৃত্ত" - এর জন‍্যই তিনি পাঠক সমাজে স্বীকৃতি। তুলনায় কবি হিসেবে স্বল্প পঠিত ; কিন্ত রুচিবান পাঠকের অবশ‍্যপাঠ‍্য তিনি।


               প্রকৃতপ্রস্তাবে, " আউশছড়ার মরামুখ" তাঁর কবিতার আঙ্গিক ভাবনায়, শব্দ ব‍্যবহারে একটি বাঁক লক্ষ করা যায়। বলা যায় "কশেরু ছুঁয়েছে পাইপগান" কাব‍্যগ্রন্থ তাঁর কবিতা নির্মাণ একটি অন‍্য রূপ পরিগ্রহ করে। এর পরবর্তী কাব‍্যগ্রন্থগুলি পাঠের জন‍্য পাঠকের অনেক বেশি স্থিতধী মনন দাবি করে।


              করোনার সময়কালের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি, পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস‍্যা এবং ২০২১-এর নির্বাচন বিষয় বেশ কয়েকটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ‍্যে "The Dark Hour " edited  by Chirag Thakkar, এবং Deep Halder এর "Bengal 2021 - An Election Diary  বইদুটির কথা বিশেষভাবে মনে পড়ছে।  কেননা এই অন্ধকারময় সময়ে একজন প্রবীন কবি কি ভাবতে পারেন তা আমাদের সত‍্যিই জানা ছিলো না। আরো একটি কথা, এই সময়পর্বে দেবীপ্রসাদ কবিতাই লিখেছেন। এবং একমাত্র কবিতাই লিখেছেন।

 ২

           তিনি লিখছেন : " ঘরে বসে যেন স্মৃতিচর্চার নেশায় পেয়ে বসেছে। " ( ১১ সংখ্যক কবিতা)। কিন্তু শুধুই স্মৃতিচর্চাই নয়, করোনা সময়কালিন সমাজবাস্তবতার  সবকিছুই ফুটে ওঠে তাঁর কবিতায় : " প্রণাম, প্রণাম হে সূর্য, মহাজাগতিক রহস‍্য দেখলুম, / ভুলে যাই সর্বত্র এখন জারী কোভিদ উনিশ। ঘরে ঢুকে / টিভি খুললে  দেখতে হবে আতঙ্কের পর্দা জোড়া ছবি, / তবু কটা স্বচ্ছ দন্ড রয়ে গেছে এখনও দুনিয়াতে।"(১৫ সংখ্যক কবিতা)।  এই স্বগতকথনেই থেমে থাকে না তাঁর মানসভুবন। এই মারণযজ্ঞের ভিতরেও গভীর অন্তর্দৃষ্টি চোখ এড়ায় না আমাদের নাগরিক জীবনের ক্ষয় : " পার্কে বর্ষা ভিজে স‍্যাঁতা বেঞ্চি, রাস্তা ভাঙাচোরা - / এখানে কি পৌঁছয়নি পুরপ্রশাসন ? নদীর উদ্দেশ / কেউ বলে সিন্ধু নদীতে, কেউ মাছ যোগানের কথা পাড়ে । / দিঘিতে কি মাছ পড়ে ? কেউই দেখে নি - পার্কে আসে / ইঁটলোহায় শ্বাসরোধ হয়ে এক চিলতে সবুজের লোভে । / আষ্টেপৃষ্ঠে জড়ানো বসতির মধ‍্যে এইটুকু ! কী ভাগ‍্য যে / এখনও ভরাট হয়ে যায় নি হাইরাইজের উন্নয়নে ! " এই সাতটি লাইনে দেবীপ্রসাদ কখনোই উচ্চকিত স্বরে কিছু বলেন নি। তিনি স্বাভাবিক স্বগতকথনের স্বরায়ণে অত‍্যন্ত গভীর ভাবে প্রশ্ন তুলেছেন যা মনে পড়িয়ে দেয় জার্মান কবি সারা কির্শ-এর কথা। যিনি বলেছিলেন : " My poems always had something to do with landscape..... Since I was ten , I 've known that I have to live in a beautiful place" . না, এইরকম কোনো অঙ্গীকার দেবীপ্রসাদ করেন নি, কিন্ত তাঁর কবিতায় আশ্চর্য ভাবে পরিবেশ ভাবনার সঙ্গে গ্রথিত হয়ে গেছে।

              চারপাশের ভয়াল আতঙ্কের কথা উঠে আসে তাঁর কবিতায় : " টিভি খুললেই বর্ণে চিত্রে খালি ভয়াল আতঙ্ক । / পিপিই-র বর্মে সেজে যুযুধান নার্স আর ডাক্তার। / অদৃশ‍্য শত্রুর হাতে কীটমাছির মতো লোক মরছে / রক্ষাহীন।বাঁচবে তো লুকোও গে যাও স্বেচ্ছাবন্দী ঘরে। '  প্রায় মিডিয়ার ধারাভাষ‍্যের মতো নিরাসক্ত বিবরণ যেনো। কিন্ত ঐ কবিতারই শেষের দু'লাইনে তার স্বভাবসুলভ আত্মগত সংলাপ : " সমস্ত হারিয়ে মূঢ দাঁড়িয়ে - জ্ঞান নেই , কী হবার ! / নিবর্ণ জানালাটা দিয়ে ঘষা আলো ঢুকছে শুধু ঘরে। "  লক্ষণীয় এই দু'লাইনের শব্দ ব‍্যবহার : "মূঢ', " নিবর্ণ ", এবং।" ঘষা আলো" এই শব্দ ব‍্যবহার অনিবার্য ভাবে দেবীপ্রসাদের নিজস্ব ।


৩ 

                 ২০০১ - এ প্রকাশিত " কাগজ দুনিয়ার এক কোণে" কাব‍্যগ্রন্থের কবিতাগুলিতে বদলে যাওয়া সময় ও আধুনিকতা, নগরায়ন ইত‍্যাদি নানা বিষয়ে তাঁর অভিক্ষেপ লক্ষ করবার মতো। প্রকৃতপ্রস্তাবে, এই কাব‍্যগ্রন্থের কোনো কবিতাই আমাদের স্বস্তি তো দেয়ই না, উল্টে এক পূতিগন্ধময় পরিপার্শের কথা বলে। প্রায় গোদারের ছবির অনুষঙ্গে যেভাবে টুকরো টুকরো ভাবে নির্মিত হয় এক অনি:শ্বেষ এক চলচ্চিত্র-ভুবন, - অনেকটা সেই নান্দনিক সৃজনী বিন‍্যাসে গড়ে ওঠে এই কবিতাগুলি : " সারাদিন মরা দিন -- শুনি কুড়ুলের ঘা পড়ছে জঙ্গলে, / যেন ঘুণ কাটছে কায়কোষে / একমুখ অন্ধত্ব নিয়ে রাস্তার গোড়ায় / গাড়ি ভিড় ধোঁয়া কাঠ হল্লার হররার মাঝখানে / একটু আগে কীটমাছির মতন মরে পড়েছিলুম আর / দশনখে বারুদ পুরে -- আসছিল আমাদের সন্ততিরা. . ."

           

               আর এই কাব‍্যগ্রন্থে তিনি চারপাশে "আঁষটে টাকার গন্ধ" অনুভব করেন : " কবে এসেছিলাম, ছবি মনে পড়ে তার। যেখানটাতে / মিষ্টি, ভাজাভুজির দোকানটা ছিল, সিমেন্ট-কংক্রিটের / ভিত গাড়া / পাকা কাঁচা বাড়ি বাড়ি পার্টির পোস্টার। /শুনলুম সভাটভাও হয় । পঞ্চায়েতী নেতারা আসেন / অঢেল বিশ্বাস আর প্রতিশ্রুতি নিয়ে -- সেও যেন আঁষটে টাকার গন্ধ। জানি না কবে থেকে লোকজনেরও / মুখগুলো শিঁটোনো বাসী ছোট্ট গাঁটাতেও লাগছে আজ। " -- যারা মুখোমুখি বসেছেন কবির সঙ্গে, তারা জানেন এই ভাষাতেই তিনি আলাপচারিতা করেন। শুধু এইখানে, এই স্বগতকথনে বদলে যায় শব্দ সংস্থাপন। প্রকৃতপ্রস্তাবে, আমাদের সমাজের ভিতরে ছড়িয়ে থাকা গোপন হিংসার ছবি শুধু "আঁষটে" এই শব্দবন্ধে তিনি যেভাবে বাঙ্ময় করে তুলেছেন তা সত‍্যিই অভিভূত করে।


               শুধু তাই নয়, এই  লাইনগুলির যে দার্শনিক ভাবনার অভিক্ষেপ আবিস্কার করি তা আমাদের মনে পড়িয়ে দেয় শ্লোভানিয়ান দার্শনিক শ্লাভোজ জিজেকের " ভায়োলেন্স' নামের ক্ষীনতনু গ্রন্থটির একটি অধ‍্যায় "Tolerance as an ideological category" এর কথা।



              এই কাব‍্যগ্রন্থের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কবিতা ( ২৭ সংখ্যক কবিতা)। কবিতার শুরু এইভাবে : " পুলস্ত‍্য বললেন, সরস্বতী, দৃষদ্বতী দু নদীর /  মাঝখানে কুরুক্ষেত্রে এসে বাস করো এক মাস, সেখানে / গন্ধর্ব অপ্সর যক্ষ ঋষিগণ দর্শনে আসেন।"


কে এই পুলস্ত‍্য ?  মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত‍্য, পুলহ, ক্রতু ও বশিষ্ঠ এই সাত জন ব্রহ্মার মানসপুত্র। পুলস্ত‍্য ব্রহ্মার কর্ণ হতে জাত অন‍্যতম মানসপুত্র।  একটু পরে ঐ কবিতায় তিনি বলছেন : " তা ছাড়া সমস্ত দেশটাই আজ কুরুক্ষেত্র। যুদ্ধক্ষেত্র ব'লে / গ্রামে গ্রামে পঞ্চায়েতও ভোট করছে । ভোটের প্রস্তুতি / বছরভোর। রণক্ষেত্র নেই , যুদ্ধ পথে পথে পাড়ায় পাড়ায়। / বোমা ও পোস্টার দুই আয়ুধই মজুত ঘরে ঘরে।"

               শ্লাভোজ জিজেকের culturisation of politics এর কথা মনে পড়ে আবারও। ৪৯ সংখ্যক কবিতায় আবারো ফিরে আসে সেই গোপন হিংসার ছবি : " দু দলের সংঘর্ষে , নানা-প্রণালী খুনের খতিয়ানে। / রমরমা চ‍্যালেন, কিন্ত অস্থির দর্শকে উল্টে যায় / শান্ত কোনো পিছনদেশের চিত্রে, যেখানে সভ‍্যতা / নতুন পা ফেলছে ধীরে ধীরে তার সেই সতেজ উদ‍্যমে। " শেষ দুটি লাইন লক্ষ করবার। এই হল কবির প্রত‍্যয়, কবির আত্মবিশ্বাস।


            করোনার দিনক্ষণ অবিকল উঠে আসে তাঁর কবিতায় : " ত্রিশ লক্ষ ছাড়ালো আজ সংক্রমণ, ছাপান্ন হাজার / মৃত্যু-- আজ তেইশে অগস্ট।বিশ্বে শীর্ষে ভারত। "(৫৪ সংখ্যক কবিতা) এরই মাঝে তিনি লেখেন : " হঠাৎ ভেঙে যায় যদি অবরোধ কোভিদ নিনাদে, / একসাথে ঢুকে আসে পাস হওয়া শস‍্যবিল নিয়ে / উত্তাল বিক্ষোভ, ক্ষুব্ধ সমাজের সমস্ত নৈরাজ্য--" ( ৫৮ সংখ্যক কবিতা)।দিল্লির সিংঘু সীমান্তে কৃষকদের সমবেত লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ তাও কবির চোখ এড়ায় না।


           তবুও তার লেখায় ঘুরেফিরে আসে সমকালীন স্বদেশের ছবি : " ভোটসভা ফুলে ফুলে উঠছে-- ধাক্কায় কোথায় ভেসে গেল / করোনাভাইরাস, বিধিনিষেধে গুলি মারো, ওসব আর / নেই এখন-- শুধু জনোচ্ছ্বাস শুধু জ্বলন্ত ভাষণ / দিকে দিকে ভেসে যাচ্ছে শত প্রস্থ লাউডস্পিকারে / ভোটসভার মাঠ থেকে দোকানে বাজারে ঘরে ঘরে।" সম্ভবত এই বাস্তবতার ছবি তো আমাদের মানসপটেও আছে। (৬৭ সংখ‍্যক কবিতা)।


            ক্রমশ টের পাওয়া যায় ভিতরে ভিতরে জমা হওয়া ক্ষোভের কথা। প্রায় বিস্ফোরক হয়ে ওঠে তাঁর ভাষ‍্য : " দ্রুত দিনান্তর আনল করোনাভাইরাস। তার চেয়েও / শক্তিশালী হয়ে সারা দেশে ঘুরছে রাজনীতির মারী।"( ৭১ সংখ্যক কবিতা) ।


 ৫


             দ্বিতীয় পর্বের প্রথম কবিতায় তিনি লিখছেন : " ক্রমাগত লাশ আসছে, গণচুল্লিতেও দিনে রাতে / শেষ করতে পারেনা পুড়িয়ে। লকডাউন পুরো দেশ" ( ৭৫ সংখ‍্যক কবিতা)। শেষ পর্বের আটটি কবিতায় একটু বদলে যায় তাঁর মনোভূমি। একেবারে শেষ কবিতায় তিনি যেন দীর্ঘ শ্রমে হেঁটে যাওয়া এক পথিক।  ক্ষতবিক্ষত পায়ে পঁচাশি পেরোনো এক যুবক যেন হেঁটে চলেছেন : " পা ক্ষতবিক্ষত হয়ে যায়, দেহে বাড়ি পড়ে রক্তপাত ক'রে,/ বুক হা হা ক'রে ওঠে স্বপ্ন সাধ সব ভেঙে গেলে , / দূর ফানুসের দীপহলুদ ভেসে চলেছে তখনও / আর পায়ে পায়ে খুলে চলেছে পথটা-- এক আঁজল / জলের তেষ্টাতেও বাকি পথে আর থামা নেই কোথাও।"(৮২ সংখ্যক কবিতা)


            দেবীপ্রসাদের এই কাব‍্যগ্রন্থটি শুধু করোনাকালে রচিত কাব‍্যগ্রন্থ হিসেবে স্বতন্ত্র মর্যাদা যেমন পাবে, ঠিক তেমনি তাঁর নিজের কবিতার যাত্রাপথে "পর্ণনর"-এর পরে অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাব‍্যগ্রন্থ হিসেবে বিবেচিত হবে।


প্রকাশক : "প্রসঙ্গ"-এর পক্ষে সেলিম মল্লিক। 

শিমুলিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর ৭২১ ৬৪৯।

মোবাইল  91 8768693590


*******************************************************************************



সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় 


প্রবন্ধ সাহিত্যে সুশান্ত চট্টোপাধ্যায় এককথায় অনন্য, অসাধারণ । গভীর অধ্যয়ন এবং সৃষ্টিশীলতা তাঁর রচনায় পরতে পরতে গেঁথে থাকে । অ্লোকরঞ্জন দাশগুপ্ত ও দেবীপ্রসাদ বন্দ‍্যোপাধ‍্যায় সম্পাদিত"আধুনিক বাংলা কবিতার ইতিহাস"গ্রন্থে সত্তর দশকের কবিতা' তাকে পরিচিতি দিয়েছে।১৯৯৫ সালে ভারত সরকারের মানব সম্পদ উন্নয়ন দপ্তর তাকে সাহিত‍্যে সিনিয়র ফেলো হিসেবে মনোনীত করে।তাঁর সৃষ্টিশীল কলম এখনো সমান ক্রিয়াশীল।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন