ছোটন গুপ্ত / দু'টি কবিতা
ধূসরতা কথা
বিষাদ বিহানে কাচপোকা জানে
কিভাবে লিখবে নাম তার।
টোরি রাগ তোলা গায়েন সে গানে
মালকোষে গায় বিস্তার।
দামোদর নদী ডাক দেয় যদি
অশথ গাছের ছায়াতে
টিয়া চন্দনা দোল খেয়ে যায়
সবুজ স্নিগ্ধ মায়াতে।
এখনের অপু দুর্গা জানে না
কাশঝাড় গুলো আছে তো
সভ্যতা শুধু ক্ষয় লিপি মানে
স্বপ্নরা ছিল কাছে তো।
রাত পেঁচা জানে হারিয়ে গিয়েছে
গাছ মানবিক সখ্য
ক্ষয় কাল জুড়ে কবিও লিখেছে
বিনাশে কে কত দক্ষ।
আমি কি লিখবো চুপ করে পড়ি
ইতিহাস কতো সয়ে যায়
সবুজ বসত ধূসর হয় যতো
বৃষ্টি না হওয়া দেখে আয়।
সাতকাহন
ভালোবাসা লেখে কথা ও অকথা বিকেল-মেঘের ডাকে,
বৃষ্টি হয়নি তাবলে হবে না এমনও ভাবনা থাকে ?
কেউ ভালোবেসে লিখে চলে যায় স্তব্ধতা ছোঁয়া গান,
ভালোবেসে কেউ আঁকে মনছবি আলাভোলা অভিমান।
ভালোবাসা ছিলো বিকেলের রোদে দু'চোখ অশ্রু সাজে,
আলপথে হেঁটে ফিরে চলে যেতে সূর্য ডোবার মাঝে।
আলোছায়াবেলা নীরবতা মেলা ট্রেনের জানালা খোলা,
ক্রমশঃ দূরতা শুধু ধূসরতা ফিরে যাওয়া পথে চলা।
কখনও আস্থা কখন অনাস্থা-কত কথা লিখে রাখা !
বুকের গভীরে আর্তি ভুলেছে আকাশটা মেঘে ঢাকা।
এখনও কবিটা কবিতা খাতায় তোর কথা ক'টি লেখে,
তোর চোখ জানে স্বপ্নের মানে মিটিমিটি হেসে দেখে।
রাত যত বাড়ে কথা নিঃসাড়ে চুপচাপ একা ফেরে
সঠিক জানে না নিয়মও মানে না স্বপ্নরা যায় ছেড়ে।
শুধু চলে যায় একা বোকা কবি থাকে বহুদূর বাসে,
সাদায় কালোয় ভোরের আলোয় তোর মুখছবি ভাসে।
***************************************************************************



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন