অর্ঘ্যদ্যুতি ভট্টাচার্য্য / দু'টি কবিতা
মন্ত্র
সকালের মতো ঘুমপোড়া চোখে চেয়ে আছি
চেয়ে আছি স্থির কতো অশান্ত রাত ধরে !
আমার বিকেল সন্ধ্যা খেলছে ক্যারাম, তাস…
তুমি আয়েশ করে, আস্তে ধীরে
ইন্দ্রিয়দের বশ করছো এক এক করে !
আমার বুকে শুধুই তোমার ঘ্রাণ,
আমার বুকে শুধুই তোমার চাষ ।
মৃদুমন্দ তোমার গন্ধ, অবুঝ সবুজ ধান…
আমি তোমার থেকে পালাচ্ছি সেই একশো শতক ধরে,
কারা যেন এখনো স্থির ঐ রাস্তায় মোড়ে
দিচ্ছে স্লোগান, লিখছে দেওয়াল - 'নেই কো পরিত্রাণ'।
আমার প্রাণের বীজমন্ত্র তোমার ভিতর রোপন করি
তোমায় আমি আপন করি, এই জীবনে যাপন করি !
ছেড়েও তো তাই যাওনি ছেড়ে,
দিয়েও দাওনি আমায় ক্ষত
আমার শহর, আমার শরীর -
তোমার নদীর অপেক্ষারত ।
অপেক্ষাদের ঘুম পেয়েছে, নেশায় বিষের পড়ছে ঢলে…
আসবে যবে, বাঁচিয়ে দিও আবার প্রেমের গল্প বলে
বাঁচিয়ে দিও, আবার অসীম মুগ্ধতাদের মন্ত্রবলে ।
আগুন
সব নিভে যায় একটা একটা করে
শরীর নেভে, মনও নেভে জানি…
সব নিভে যায় একটা সময় পরে
যেমন শোয়ার ঘরে, আমার পাশে তুমি ।
এ প্রেম যেন শবসাধনার ছাই…
তোমার গন্ধ, স্মৃতির মতোই প্রায়
তোমার চামড়া আমার নখের ডালে
দু'হাত তবু হাতড়ে তোমায় চায় ।
হাতড়ে ফিরি অন্ধকারের রাতে
আমি পরিব্রাজক তোমার উপত্যকার
মনেস্ট্রিতে আলো নিভে গেছে
তবু জাদু জানো, বিভোর করে রাখার ।
বিভোর থাকি রাতের খোলা পিঠে
ভোর বেলাতে আরো আদিম হই…
দুরে সরো, গোপন করো, আকর্ষনও বাড়ে
তুমি যত নেভো, আমি জ্বলে রই ।
আমার আগুন শীতল করবে কে…
নিভলে তুমি, কে করবে আমায় ছাই
এ পাশ ফিরে একটু জাদু বাড়াও
খাই তোমার দিব্যি, শুধু তোমায় চাই ।
*********************************************************************



কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন