প্রদীপ ঘোষ / দু'টি কবিতা
তিন বাঁও
ইশশশ্ নওল বাতাসি পাখির এতোলবেতোল
উড়ানে রোদ্দুরের মনডাও বাউলান
যেন রসিক নাগর ডাগর। আমারে ও
উড়িউড়ি বাউল কইরে দ্যাও ভগবান।
পেয়ারা পাতায় পেয়ারা গন্ধ, আমে আম,
জাম পাতায় ছবি আঁকা, ম্যায়ফিলে জাম
প্যায়মানা ভরা, উইছলে পড়ে সুরা,
গহরজানের কসম ; না দোয়া না সাকি,
ফজিহতে সাদা পাতায় তাকায়ে দেখি,
একি ! নিঠুর বোষ্টমী ..তোমার নাম !
জীবন রেএএএএএ....
ভাঙ্গা হাল ছেঁড়া পাল
তাও উজান বাওয়ার গান গাই
হায় ! পুণ্ডরীকাক্ষ -
শঙ্খ চক্র গদা পদ্মে জানু পাইতে বইসে আছি
না পরিত্রাণ,
তিন বাঁও ও মিলে নাই।
অধরা মাধুরী
বৃষ্টি ধোয়া সব রাস্তা-ই ধুলোবালির কাফন
বারংবার 'আশার ছলনে ভুলি', ক্ষণিকে পাতন,
পাতাতোয়া জলের ফোঁটার মতো টুপ্ টাপ্
ঝরে পড়ে আহা রে প্রফুল্ল জীবন !
অপেক্ষা, অপেক্ষায় পুঞ্জীভূত অভিমান তবু অনায়াস
এড়িয়েছি চোখে চোখে নাগরিক, সহমর্মী-বিদ্রূপ
কিন্তু মুকুরে'র উপহাস ?
জানতাম যা,
ভুল বোধহয়
নদীর যখন চানের ইচ্ছে,
তখনই বৃষ্টি হয়।
সিঁদুর আলতা নোয়া বালুচরি-শাড়ি কুমকুম চন্দন ;
গোড়ের মালা আর কিছু হুটোপুটি রেখে গেলে।
বিমলা আঙুল ঠোঁটে, চোখের ইশারায় মেদুর
কোমলগান্ধার অধরা সানাইয়ের সুর।
অভিজ্ঞান বলতে ;
চিত্রলেখায় পায়ে পায়ে এঁকে গেলে ধানের ছড়া
শীতলপাটির বুনোটে।
এই যে ফি বছর আউলাঝাউলা ঝরা পাতার পরে
ছুঁয়ে যাওয়া মন !
বসন্ত সমাগমে কুহু কি -
অনৃত সম্ভাষণ ?
*************************************************************************


কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন