রবিবার, ১২ জুন, ২০২২

পলাশ দাস



পলাশ দাস / দু'টি কবিতা 


ত্রিভুজ ও তিনটি বিন্দুর কোণ  


১. 

কয়েকটি ত্রিভুজ আকৃতি মাথা আর পাখির ডানার মতো কান নিয়ে 

ভেসে চলা 

অবয়বের দিকে মাথা তুলে দাড়িয়ে আছি 


মুখের ওপর চোখের ওপর পড়ছে তাদেরই কান থেকে খসে পড়া 

বাসি পালক  

বৃষ্টি ভেবে সেগুলোকেই আমরা পকেটে পুড়ে নিচ্ছি গায়ে মেখে 

নিচ্ছি  দু চোয়ালে 

বেশ আড়ম্বর করে মেখে রোদে ঢেকে রাখছি আর সেই দৃশ্য 

অন্তরালে তারা মেঘের 

ভিতর দিয়ে হাওয়ার ভিতর দিয়ে একটা পথ এঁকেছে 


আমাদের দৈনন্দিনতায় গড়া সেই পথ আমরা যেন ভেসে যেতে 

চাইছে সেই পথেই 


ঠিক নাগাল পাওয়ার আগেই স্বপ্নের চোখ খোলার আগেই তারা 

ঘাস উপরে 

পথ এঁকে নিয়েছে চকচকে রঙ আর তুলি দিয়ে গাছের পাতা দিয়ে 

দু ধার বাঁধিয়ে 

দিয়েছে চমৎকার অরণ্য সদৃশ করে 


কয়েকটা ত্রিভুজ আকৃতি মাথা আর পাখির ডানার মতো কান নিয়ে 

ভেসে চলা 

অবয়ব দেখতে দেখতে হারিয়ে যাচ্ছে রাতের স্বপ্নে আঁকা পথ 

তুলির নরম 

আঁচড়ের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে নিজস্ব মেঘ রঙিন আঁচড়   









২. 

জল ভরতি মেঘের ভিতর বাদামি রঙের হাওয়া এসে ঘেঁটে দিচ্ছে 

সমস্ত প্রণালী 

তারপর থেকে থেকে বদলে যাচ্ছে মেঘের নিজস্ব আকৃতি  

একটা সুড়ঙ্গ আঁকছে দেহের ভিতর সেই পথ বেয়ে নেমে যাচ্ছে 

জল

হিম যুগের বরফ তার সমস্ত শুষ্কতা আর গভীর শূন্যতা 

শূন্যতা নেমে নেমে গেঁথে দিচ্ছে সুড়ঙ্গের চারপাশের দেয়ালের 

কঠিন প্রাচীর  

ক্রমশ জল হীন একটা মেঘ ছেয়ে যাচ্ছে মাথার ওপর আর কিছু 

প্রাচীন মুখ 


******************************************************************************



 পলাশ দাস

জন্ম:- 27 মার্চ, 1989,বারাসাত।
স্থায়ী বসবাস বারাসতে। পিতা- প্রদ্যুৎ দাস, মাতা- কৃষ্ণা দাস।
2018 সালে প্রথম কবিতা প্রকাশ,কলকাতা শব্দহরিণ পত্রিকায় সাত্যকি নামে(পরিবার প্রদত্ত নাম পলাশ দাস)। পরবর্তীতে নিজ নামেই লেখা প্রকাশ। লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে বা হচ্ছে।কবিকথা, কাগজের ঠোঙা,কালধ্বনি, পদক্ষেপ,সাহিত্য সৃজনী, সাগ্নিক, অবেক্ষণ, অর্বাচীন,মুখর,কবিতা সীমান্ত, আখরকথা, কবিতা নগর,ষোলো আনা, ঝিলম,ভোরের সাঁঝপথ,কবিতা কুটির, আজকের কুরুক্ষেত্র,বিবস্বান,নৌকা প্রভৃতি।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন