ঋতুপর্ণা খাটুয়া / দু'টি কবিতা
বিরহী
ছুঁড়ে ফেলা ঋণের আতপ তণ্ডুল
সেকেন্ডের কাঁটা হয়ে ছুটে যায়,
দু তিনটে ভুল—
আমি কোঁকড়ানো নদীতে উড়ে যাই
ঠোঁট ছুঁয়ে যায় ভয় ভীত বুক
ব্যাকুল রূপসার নাভি উপকূলে
হেঁটে উঠে আসে নির্জন শামুক
হেড অথবা টেল
আমি বললাম, কী করবে?
সে হাই তুলে বলল, ঘুমাব।
–আরেকটু জেগে থাক নাহয়...
–তারপরও তো ঘুমাতে হবে।
আমি চুপ করে চোখ বন্ধ করেই নিলাম।
রাতের দৃষ্টিকটু ও নান্দনিক অপমান
একদম মানতে পারি না আমি
ফোন বহুদূরে রেখে আবার চোখ খুললাম।
অন্ধকারকে দেখার হরেক নজর আমার আছে
রাতের তারা, আকাশ, চাঁদ এসব পুরানো
মাজরা... আমায় টানে না আর
আমি কালোতে দেখেছি তার
ঘন চুলের আড়ালে নরম সুগন্ধি অন্ধকার,
সাবমেরিনের তলে কুয়াশা,
চারকোল পেনসিলের শিষ ও...
লিখে লিখে এখন আমায় বোঝাতে হবে ওদের
রাতের চাঁদ-তারা-আকাশ দেখার চেয়েও ক্যাঁ ক্যাঁ
ক্রিউ ক্রিউ করে আদ্ধা তালে উড়ে যাওয়া পাখিটার
কৃষ্ণ ছায়ার আঘ্রাণ নেওয়া ঢের ঢের রোমাঞ্চের —
*********************************************************************************



ঋতুপর্ণার কবিতা ওঁর মতনই, সহজ, স্বাভাবিক, সুন্দর!
উত্তরমুছুন