বুধবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

বিকাশ চন্দ





বিকাশ চন্দ * দুটি কবিতা 




অন্তর্গত জলের হৃদয় 

জলে যে জলছবি আঁকা হয়ে যায় জীবনের 
কী করে ধরে থাকে জলের অদিবাস
জলের ভেতর পুনর্জন্ম মানুষের সনাতন ছায়ায়
পৃথিবীর সকল যুগই চেনে যুগন্ধর 
এখন খুঁজে ফেরে মাটি ধান ক্ষেত শস্য ভূমি
বড় জরুরী সকল মানুষের মতো তৃতীয় বসতি
কখনো লেখা হবে জল আর মানুষের জন্ম জীবনী

সকল ঔদার্য ছুঁয়ে সৃষ্টি রহস্যে সপ্ত ঋষি কাল 
এ জীবনের উঠোনে যত রক্ত পাত নীরবে শত্রু হীন
সকল বাধ্যতা নেচে ওঠে নিরন্তর আলোর মহড়ায় 
বড় আনন্দে কোলজুড়ে জ্যোৎস্না মাখে ডালিম ফুলের পুতুল 
সারাক্ষণ তখন আবিশ্ব জুড়ে পাখিদের গান 
কোন বেচা কেনা নেই শত্রু হীন ঈশ্বর আর ফুলে

রহস্য মোড়া কোন কোন মানুষ দেখালো হৃদয়ের মুখ
শিক্ষা দীক্ষা সকল মাধুর্য দু'হাতে জড়িয়ে নির্বাক
হাজারো রহস্য ঘিরে আছে প্রতি সময়ে আত্মহত্যা 
ঝরা পাঁপড়ির কলরব ভেসে যায় নিষিদ্ধ জলের স্রোতে
আমার উষ্ণতা নিয়ে কেন সরে যাও অন্তর্গত জলের হৃদয় 

















অস্ফুট অশ্রুত কথারা

প্রতিদিনই কিছু ক্লান্ত বিষণ্ণতা তছনছ করে হৃদয় 
টাটকা কথাগুলো অযথা বাসী ফুলের মতো 
 বিচ্ছিন্ন পাঁপড়ি উড়ে যায় চেনা বন্ধুর উঠোনে 
সে দেখলো কিনা জানিনা জীর্ণ আত্মার আকর্ষণ 
কেউ কেউ এখন আগুনের তাপের পাশে 
কেউ কেউ মাটির উনুনে পোড়ে একলা ক্ষুধার গ্রাসে 
কোঁচকানো কপালের সিঁদুর আজও অবিকল 
সকল ঋতু রাতেই আগুনের কাছে শুদ্ধিকরণ আজীবন 

এভাবেই উড়ে যাই পাখির ডানায় চেনা না চেনা
স্বপ্নেরা এঁকেছিল চিত্রকল্প নির্ঘুম চুম্বনে 
তবুও কোথাও অন্তহীন আর্তনাদ দেখে চির নিদ্রিত লাশ 
আজ যা হারিয়ে গেলো সে-ও তো আগামীর অভিশাপ 
অস্তবেলার মতো এ জীবন তো চেয়েছিল একদিন 
অন্তত একদিন হলেও সকালের সূর্য রঙের সাথে বাঁচো 

সেদিন ও সকালের টাটকা ফুল ফুটেছিল অনেক 
কেউ কেউ বলেছিল উঠোনে স্বর্গ নেমেছে
চেনা পাখির ঠোঁটে ভেসে যাচ্ছিল মোহাচ্ছন্ন আকাশ 
চুম্বন রাখে নিষ্পাপ ঠোঁটে অস্ফুট অশ্রুত কথারা




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন