মার্গারেট অ্যাটউড ( Margaret Eleanor Atwood; জন্ম: ১৮ নভেম্বর ১৯৩৯) হলেন একজন কানাডীয় কবি, ঔপন্যাসিক, সাহিত্য সমালোচক, প্রাবন্ধিক, উদ্ভাবক, শিক্ষাবিদ ও পরিবেশবাদী। তিনি সতেরোটি কবিতার বই, ষোলটি উপন্যাস, আটটি ছোটগল্প সংকলন, এবং একটি গ্রাফিক উপন্যাসসহ একাধিক ছোট কবিতা ও কথাসাহিত্যের সংস্করণ প্রকাশ করেছেন। অ্যাটউড ও তার লেখনী একাধিক পুরস্কার ও সম্মাননা অর্জন করেছে, তন্মধ্যে রয়েছে ম্যান বুকার পুরস্কার (২০০০ ও ২০১৯ সাল), আর্থার সি. ক্লার্ক পুরস্কার, গভর্নর জেনারেল্স পুরস্কার, ফ্রানৎস কাফকা পুরস্কার, ন্যাশনাল বুক ক্রিটিকস ও পিইএন সেন্টার ইউএসএ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার। অ্যাটউড লংপেন ও এর সহায়ক প্রযুক্তির উদ্ভাবক ও ডেভলাপার। তাঁর দুটি কবিতার মনোগ্রাহী অনুবাদ করেছেন কবি পিয়ালী বসু -----
(1)
This is a photograph of me
The picture was taken many years ago
At first glance it may seem like a sticky print. . The paper has a light gray lining
But if you notice slowly, you will see
A drop on the left side of the picture. .. of trees
Fragrant or smooth
And a little higher along the middle of the right
In what appears to be a sloping valley
Actually the structure of a house
A lake behind
And beyond that, some low hills
The picture was taken
The day after I drowned
The lake in the very center of the picture is actually where I am
Below the ground
It's hard to say exactly where, though
Nor can it be said, how great or how small I am,
Actually the projection of light on the water
Many illusions create illusions
However, if you look at it perfectly
Will finally see me. . In the picture
আমার সেই ছবিটি
ছবিটি তোলা হয়েছিলো অনেক বছর আগে |
প্রথম দেখাতে হয়তো একটা চটচটে প্রিন্ট বলে মনে হতে পারে. . যার কাগজে হাল্কা ধূসর রঙের আস্তরণ
কিন্তু ধীরে ধীরে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে
ছবিটির বাঁ দিকে একটা গুঁড়ি. .. গাছের |
সুগন্ধি অথবা পরিপাটি মসৃণ
আর ডানদিকের মাঝ বরাবর একটু উপরে
ঢালু উপত্যকা বলে মনে হওয়া জায়গাটায়
আসলে একটা বাড়ির কাঠামো |
পিছনে একটি লেক
আর তারও পরে, নিচু নিচু কিছু টিলা পাহাড় |
ছবিটি তোলা হয়েছিলো
আমি ডুবে যাওয়ার ঠিক পরের দিন |
ছবিটির একেবারে কেন্দ্রে যে লেকটিকে দেখা যাচ্ছে, আমি আসলে সেইখানেই
মাটির একেবারে নিচে |
যদিও ঠিক কোথায় তা হলফ করে বলাটা কঠিন
এটাও বলা যাবে না, আমি কতটা বড়ো বা কতটা ছোট,
আসলে জলের ওপর আলোর প্রক্ষেপণ
বেশ কিছু মায়া বিভ্রম সৃষ্টি করে |
তবুও , নিখুঁত ভাবে দেখলে
অবশেষে আমাকে দেখা যাবে. . ছবিতে |
(২)
Habitation
Marriage is not
a house or even a tent
it is before that, and colder:
the edge of the forest, the edge
of the desert
the unpainted stairs
at the back where we squat
outside, eating popcorn
the edge of the receding glacier
where painfully and with wonder
at having survived even
this far
we are learning to make fire.
বাসস্থান
বিবাহ আদতে বিশেষ কিছু নয়
তোমার বাসস্থান অথবা একটা তাঁবু
এটি আসলে আরও আগের এক পথ
যেখানে শীতল ঘন অরণ্য প্রান্ত, ধূধু বালিয়াড়ি
অথবা কোনো এক মরুপ্রান্তর. ...
যেখানে আসন-পিঁড়ি হয়ে বসে আছি আমরা,
আর পপকর্ন খাচ্ছি
পিছন থেকে বদলে যাচ্ছে
চির চেনা দৃশ্যপট
আমরা ভাবছি, বিস্মিত হচ্ছি
এই প্রতিকূলতায়ও বেঁচে থাকা যায়?!
আর এভাবেই আমরা শিখছি আগুন ধরাবার কৌশলটি |
*********************************************************************
পিয়ালী বসু
কবি পিয়ালী বসুর কবিতার বহুমাত্রিকতা পাঠককে স্পর্শ করে। জীবনকে দেখার স্বচ্ছ পরিষ্কার দৃষ্টিভঙ্গি তাঁর। শব্দ ব্যবহারের অত্যন্ত দক্ষ, ভাব প্রকাশের অনুগামী হলে বিদেশি শব্দ ব্যবহারেও তিনি কুণ্ঠিত নন। এই বৈচিত্র্যই কবি পিয়ালী বসুর অনন্যতা। ভালোবাসা সম্পর্কে তার মূল্যায়ন ' ভালোবাসা আদতে বেঁচে থাকে /অনুপস্থিতির ট্রান্সপ্যারেন্ট পোর্টিকায়।'




কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন