চন্দ্রাণী গোস্বামী * দুটি কবিতা
নিয়তি
নয়ন বিচিত্র পথগামী, জেনেও
এই পথে ভোর থেকে সকাল অবধি
লিখে রেখেছি চোখের সহস্র জল
বেলা ক্রমে শুষে নিয়েছে মধুবাতা ঋতায়েত
আজীবনের অপনয়
অসফল পরিব্রাজন...
তবু এইখানে ব্যথা আসে, অক্ষর জুড়ে কালো কালো নিদাঘ
সেইখানে জুঁই লিখব ভাবি , অথচ...
অবধুতের মতো সন্ধ্যা নামে
তার শাদা কাপড়ে গুঁড়ো গুঁড়ো খসে পড়ে
আমার অন্ধত্ব, তুমি
বুঝি, জনমের মতো মেঘ হয়ে গেছ,
তবুও তো ঝরে ঝরে পড়া বৃষ্টির ফোঁটায়
চুঁইয়ে চুঁইয়ে কান্না নামে,
কেন নামো তুমি?
নিঃশব্দে ফুঁপিয়ে ওঠে আমারই বিধি...
এলব্যাম
একটা চিঠি পাওয়া খুশবুদার বিকেল
বন্ধুদের গ্ৰুপফটোয় হইচই করে ওঠা একটা
বিশেষ মুখ
শুকরিয়া আদাব জানানো একটা খোয়াব----
আজকাল ঘুম বালিশে ভিড় জমায়
এসব কুয়াশায় দিন আবছা হয়
জানো তো ঈশ্বরও খুব নিঃসঙ্গ
তারচে, আলোর দিকে চোখ রাখো
আমায় মনে করে হাত রাখো বুকে
দেখ, আমি সেখানে ঠোঁট গুঁজে কেমন
ঢেলে দিই যাবতীয় তরল গরল।
**********************************************************
জন্ম সত্তর দশকের শেষদিকে। স্কুল জীবন, বড়ো হয়ে ওঠা সবই কলকাতায়। পড়াশোনা স্নাতকোত্তর , কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বর্তমানে কলকাতার একটি কলেজে হিসাব রক্ষণ বিভাগে কর্মরত। ছোটবেলা থেকেই লেখালেখির প্রতি তীব্র আসক্তি। নতুন শতকের প্রথম দশকের শেষ থেকে নিয়মিত লেখালেখি। কবিতা আশ্রম, কৃত্তিবাস, গাঙ্গেয়, অপদর্থের আদ্যক্ষর, বম্বে ডাক, তমোহা, সাজি পত্রিকা, বিকল্প বার্তা সহ বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখা প্রকাশিত।






কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন